Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ক্ষমতাধর একটি দেশ চায় না শেখ হাসিনা থাকুক’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৯ মে ২০২৩ ২৩:১৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো বিদেশি শক্তির নাক গলানোর সুযোগ নেই। ক্ষমতাধর একটি দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে হতবাক। এটি তাদের সহ্য হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকুক, ওই দেশটি চায় না।’

শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যেগে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও নাশকতাবিরোধী শান্তি সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আমেরিকা পাকিস্তানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাধর ওই দেশটির চরিত্র ও ভূমিকা কারও অজানা নয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ওই দেশটি পাকিস্তানের পক্ষে বঙ্গপোসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিল। বৈশ্বিক প্রতিবাদ ও নিন্দার মুখে ওই সপ্তম নৌ-বহরকে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।’

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ও পাকিস্তানের পক্ষে ভেটো দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের পক্ষে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পাল্টা ভেটো প্রদান করায় তাদের স্বার্থ হাসিল হয়নি এবং তারা পরাজিত হয়। এছাড়াও পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এরা স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করে।’

মার্কিন ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় অভিযোগ করে সাবেক মেয়র নাছির বলেন, ‘১৯৭৩ সালে নগদ মূল্যে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ খাদ্যসামগ্রী কিনেছিল। বাংলাদেশে একটি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার কু-মতলবে আমেরিকা খাদ্যবাহী জাহাজটিকে ফিরিয়ে নেয় এবং প্রচার করে যে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ লোক মারা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

‘এই সাময়িক দুর্ভিক্ষ বঙ্গবন্ধু মোকাবিলা করে সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছিল। সৌভাগ্যবশত সে বছর বাম্পার ফসল উৎপাদিত হয়। এটিও তাদের সহ্য হয়নি। তাই ১৯৭৫ সালে মার্কিনি গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআই’ ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনায় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো বিদেশি প্রভুর প্রেসকিপশনে নয়, ক্ষমতায় কে আসবে বা কে যাবে তা এদেশের জনগণ তাদের ভোটধিকারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। ক্ষমতাধর বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মনে রাখা উচিত বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।’

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মতামত দেওয়ার পর তা পার্লামেন্টে বিল আকারে গৃহীত হয়। তাই সংবিধান সংশোধন ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বৈধতা ও সুযোগ নেই।’

এসময় তিনি আগামী ২৩ ও ২৮ মে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বড়পরিসরে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ নোমান আল মাহমুদও বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/আইসি/একে

আ জ ম নাছির উদ্দীন আওয়ামী লীগ আমেরিকা গণতন্ত্র টপ নিউজ পাকিস্তান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর