Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্বাসন

সারাবাংলা ডেস্ক
২০ মে ২০২৩ ২২:৩২

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্বাসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

শনিবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘আপনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ও শান্তির দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন।

বিশিষ্টজনেরা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এদেশ থেকে নির্বাসিত করেছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানের মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ফারুক বক্তৃতা করেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতোই কাজ করে চলেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। শেখ হাসিনা ফিরে না এলে আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম কি না সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে ধারণ করে দেশকে বর্তমানে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আজও বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে নাকি নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচনের সব দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ওই সময় সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে।’

বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন, তখন রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও এটা বুঝেছিলাম যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চাকা ফের চলবে। তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফের জাগ্রত হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। সে কারণেই তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে ফিরে প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সামরিক শাসন থেকে মুক্তি দিতে এসেছি। আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে আসিনি’।”

সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন তখন এদেশের প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষ তাকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছিল। তিনি সারাবাংলা ঘুরে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন। শেখ হাসিনা তার কয়েকটি কাজের জন্য ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনর্বাসন করা।’

সারাবাংলা/পিটিএম

বঙ্গবন্ধু পরিষদ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর