Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাবাকে প্রথম কাঁদতে দেখি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর’

সারাবাংলা ডেস্ক
২০ মে ২০২৩ ২৩:৪৯

লন্ডন: প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর কন্যা তনিমা চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাবাকে তিনি প্রথম কাঁদতে দেখেছেন। আর বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এই সাংবাদিক আজীবন তার আদর্শ লালন করে গেছেন। তিনি বাংলা ভাষাকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আগলে রেখেছিলেন।

শুক্রবার (১৯ মে) পূর্ব লন্ডনের লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।

লন্ডর বাংলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সাংবাদিক নিলুফা ইয়াসমীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাফফার চৌধুরী তনয়া তনিমা চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেইন।

এ সময় আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা শেষ গান গেয়ে শোনান একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী হিমাংশু গোস্বামী। কবিতা আবৃত্তি করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব উর্মী মাজহার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই গাফফার চৌধুরী স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সুলতান শরীফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা বাংলা ভাষা ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশ রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। লেখনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের মানুষের আবেগ তৈরির কাজ করেছেন। তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন তার নিজ কর্মে।’

আবদুল গাফফার চৌধুরীর মেয়ে তনিমা চৌধুরী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বাবাকে প্রথম কাঁদতে দেখি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর। বাবা চিৎকার করে কেঁদেছেন। বাবার বিশ্বাসের জায়গাটা অটল ছিল। যা বিশ্বাস করতেন তাই লিখতেন। অন্যের বিশ্বাসে বা চিন্তায় প্রভাবিত হতেন না। একজন মানুষই তাকে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ষাটের দশকের ছাত্রনেতা হাবিব রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক আবু মুসা হাসান, বিবিসি বাংলার সাবেক সাংবাদিক উদয় শংকর দাস, সাপ্তাহিক জনমত’র প্রধান সম্পাদক, সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশা, লেখক-সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেত্রী হুসনা মতিন, সাংবাদিক আ স ম মাসুম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজিয়া বেগম, আমরা একাত্তর’র যুক্তরাজ্য সংগঠক সত্যব্রত দাস স্বপন, চলচ্চিত্রকার মোস্তফা কামাল, লেখক মঈনুর রহমান বাবুল, মো. আব্দুল আজিজ, জামাল আহমেদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম খান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।

সারাবাংলা/পিটিএম

আবদুল গাফফার চৌধুরী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর