চাকরি ফেরত ও লাভের অংশ চান শেভরনের চাকরিচ্যুত কর্মীরা
২১ মে ২০২৩ ১৪:১৭
ঢাকা: মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ থেকে চাকরিচ্যুত কর্মীরা স্বপদে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কোম্পানির মুনাফার অংশও দাবি করেছেন সদ্য চাকরিচ্যুত এই কর্মচারীরা।
রোববার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ‘শেভরন বাংলাদেশ ব্লকস থার্টিন অ্যান্ড ফোরটিস লিমিটেডে’র চাকরিচ্যুত কর্মীরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুসফেক উস সালেহীন খাঁন বলেন, ‘শেভরন কোম্পানিতে চাকরির বয়স ১২ থেকে ২৪ বছর। এখানকার অনেক কর্মী দীর্ঘ সময়ে কাজ করেও চাকরিতে স্থায়ী হননি এবং সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাননি। শেভরন ২০০৫ সালে বাংলাদেশে আসে। তখনকার শ্রম আইনের বিধানমতে তিন থেকে ছয় মাস চাকরি করার পর আমরা চাকরিতে স্থায়ী হই। শেভরন কর্তৃপক্ষ আমাদের অস্থায়ী নিয়োগপথ, পরিচয়পত্র ও কাজের উপকরণ দেয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী আজ পর্যন্ত আমাদের স্থায়ী নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০০ শ্রমিক শ্রম আদালতে পৃথক পৃথক ভাবে মামলা করে। সে মামলা এখনও বিচারাধীন।’
‘শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী মামলা চলাকালীন সময়ে বিরোধে যুক্ত কোনো শ্রমিকের চাকরির শর্তাবলীতে কোনো পরিবর্তন না আনা গেলেও সে বিধান লঙ্ঘন করে শেভরন সম্প্রতি ১৩০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে। শ্রম আইনের বিধান না মেনে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে কথিত এক ঠিকাদারের মাধ্যমে আমাদের টার্মিনেট করা হয়।’
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের এসব ভোগান্তির পেছনে রয়েছে কিছু বিদেশি ও দেশীয় কর্মকর্তা-সুপারভাইজার। তারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার কোম্পানি বানিয়ে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। আমরা যখন শেভরনের চাকরিতে যোগদান করি তখন কোনো ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের আইনি বিধান ছিল না। কিন্তু ২০১৫ সালে শেভরন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের বিধান তৈরি করেছে, যা কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।‘
তিনি আরও বলেন, ‘শেভরন আইন অমান্য করেও সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিস ও প্রপার্টি কেয়ার বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামক দু’টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক অবৈধ চুক্তি করে আমাদের সে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক বানানোর অপচেষ্টা করছে; যার কোনো আইনগত বৈধতা ও কার্যকারিতা নেই। সুতরাং আমাদের দাবি,চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের স্বপদে পুনর্বহাল, প্রথম যোগদানের তারিখ বিবেচনায় শেভরনের স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, নিয়োগপত্র দেওয়া এবং কোম্পানির মুনাফার অংশ দেওয়া হোক।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও