আন্তর্জাতিক মিলেটবর্ষ উদযাপন করল ভারতীয় হাই কমিশন
২১ মে ২০২৩ ১৬:১০
ঢাকা: আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ উপলক্ষ্যে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন তাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীর শিরোনাম ছিল ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও মিলেট’-এর গুরুত্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বহু শতক ধরে মিলেট আমাদের খাদ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাস্থ্যগত উপকারিতার দিক ছাড়াও, কম জল ও স্বল্প প্রয়াসের কারণে পরিবেশের জন্যও মিলেট শ্রেয়। সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে, এবং সারা বিশ্বে মিলেট উৎপাদন ও এর ব্যবহার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে, ভারত সরকারের অনুরোধে জাতিসংঘ ২০১৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে।’
হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা তার বক্তব্যে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পুষ্টিকর খাদ্য জনপ্রিয়করণ, টেকসই কৃষির প্রচার ও কৃষকদের আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে মিলেট-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি উল্লেখ করেন, মিলেট-সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবহারিক জ্ঞান বিনিময়, সর্বোত্তম অনুশীলনের আদান-প্রদান এবং গবেষণা ও উন্নয়ন উদ্যোগে সহযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের কৃষিখাতে রূপান্তর এবং মিলেট উৎপাদন ও এর ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহও তুলে ধরেন।
সেখানে আরও বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কৃষি সহযোগিতা। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই এই দুই দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ও আরো সমৃদ্ধ ভবিষ্যত বিনির্মাণে মিলেট এর শক্তিকে কাজে লাগানোর পথে নেতৃত্ব দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন। অতিথি বক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রখ্যাত কৃষি বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক, কৃষিবিদ্যা বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড. মির্জা হাসানুজ্জামান তাঁর অভিজ্ঞ মতামত প্রকাশ করেন।
সারাবাংলা/জেআর/একে