সুদানে দুই পক্ষের ৭ দিনের অস্ত্রবিরতি
২১ মে ২০২৩ ১৭:১৬
সুদানের যুদ্ধরত দুই সশস্ত্র বাহিনী এক সপ্তার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মার্কিন এবং সৌদি মধ্যস্থতাকারীরা শনিবার (২০ মে) এ ঘোষণা দেন। এর আগে বেশ কয়েকটি অস্ত্রবিরতির ঘোষণা অবশ্য পালন করেনি কোনো পক্ষই। তবে মার্কিন ও সৌদির মধ্যস্থতায় এবারই প্রথম অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে সুদানের দুই পক্ষ।
সৌদির বন্দর শহর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে সুদানের সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী প্যারা মিলিটারি আরএসএফ-এর প্রতিনিধিরা ৭ দিনের অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সোমবার (২২ মে) সুদানের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। উভয় পক্ষ সম্মত হলে অস্ত্রবিরতি বাড়ানো হতে পারে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সৌদি-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এটি সর্বজনবিদিত যে, অস্ত্রবিরতির আগের সিদ্ধান্তগুলো কোনো পক্ষই পালন করেনি। তবে জেদ্দায় হওয়া চুক্তিটি দুই পক্ষের কথামতোই করা হয়েছে। মার্কিন-সৌদি এবং আন্তর্জাতিক সমর্থিত অস্ত্রবিরতি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা দ্বারা এটি মনিটরিং করা হবে।
গত ১৫ এপ্রিল সুদানের রাজধানীতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয় দেশটির আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর। সুদানের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। আর আধাসামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে জেনারেল মোহাম্মদ দাগালো।দুই বাহিনীর লড়াইয়ে সুদানজুড়ে চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষই আর্টিলারি, যুদ্ধবিমানসহ ভারী যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে সুদানে কোনো কার্যকরী সরকার নেই। ২০১৯ সালে এক অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামডোকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বরখাস্ত করেছিল সেনাবাহিনী। তখন থেকেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা চলছে। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী দুই পক্ষই সুদানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
সারাবাংলা/আইই