Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাঁদাবাজিতে অতীষ্ঠ নিউমার্কেট ফুটপাতের দোকানদাররা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ মে ২০২৩ ১৮:৫৩

ঢাকা: নারী ও শিশু পাচারকারী মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নিউমার্কেট থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাঁদাবাজ ঈসমাইল হোসেনকে (৪৫) এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে তিনিসহ তার সহযোগীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নিউমার্কেট এলাকার গাউছিয়ার ফুটপাতের দোকানদাররা।

ঈসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৯ জুন সাতক্ষীরার নারী ও শিশু বিশেষ আদালত থেকে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। রাজধানীর নিউমার্কেট থানাতেও ওয়ারেন্ট পৌঁছেছে। ওয়ারেন্টের নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সি, আর-০৩৯/২২, সাতক্ষীরা, তাং-১৫/০৪/২২। আসামি মো. ইসমাইল হোসেন, পিতা-মোফাজ্জল হোসেন, সাং-৪৮০ পুরাতন, নতুন ৩৫ জিলানী মার্কেট, নীলক্ষেত, ঢাকা। থানা নিউমার্কেট।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঈসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও শিশু ও নারী পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।

দোকানিদের অভিযোগ জিলানী মার্কেটে তানজিলা এন্টারপ্রাইজ নামে দোকান বসিয়ে সহযোগীদের দিয়ে নিউমার্কেট এলাকার চাঁদা আদায় করে ভাগবাটোয়ারা করেন ঈসমাইল হোসেন। তার এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দিচ্ছেন নিউমার্কেট থানা আওয়ামী লীগের ১৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের চাঁদা আদায়ের লাইনম্যান ইব্রাহিম হোসেন ইবু।

এদিকে ইব্রাহিম হোসেন ইবুর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। নিউমার্কেট এলাকার গাউছিয়ার ফুটপাতের চাঁদা আদায় করেন তিনি। তিনি ঢাকা কলেজের ছাত্র মার্ডারে জড়িত। তিনি এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে হয়েছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। ৮৩, কাটাবন, এলিফ্যান্ট রোডে তার আলিশান ফ্ল্যাট ও জিলানী মার্কেটে তার চারটি জুতার শোরুমসহ শত কোটি টাকার মালিক তিনি। অথচ ২০১৮ সালেও তিনি ফুটপাতে ১’শ টাকা করে জুতা বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈসমাইল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, নিউ মার্কেট এলাকার ফুটপাতে বা কোনো শোরুমে আমার কোনো ব্যবসা নেই। কিসের জুতার দোকান আর কিসের কাপড়ের দোকান। আমি রড সিমেন্টের ব্যবসা করি। আমি কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গেও জড়িত নই। যারা এমন তথ্য দিয়েছে তারা ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। চাইলে আপনি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।

ঈসমাইল হোসেন আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরায় আমার নামে যে মামলা হয়েছিল সেই কাগজ নিউ মার্কেট থানা থেকে নিয়ে ওই আদালতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো নথি খুঁজে পাইনি। যে নোটিশ ছিল তা ভুয়া ও বানোয়াট।’

লাইনম্যান ইবুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইবু আলাদাভাবে ব্যবসা করেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তার ফুটপাতে ব্যবসা থাকলেও আমার নেই। আর তিনি আমার লাইনম্যানও নন।’

এই বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গণি সাবু বলেন, ‘ঈসমাইলের নামে একটি ওয়ারেন্ট কপি এসেছিল। সেটি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। যাচাইয়ের জন্য আমরা ডিবিতে পাঠিয়েছি।’

চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের নামে থানায় কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি নেই। তাই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

চাঁদাবাজি নিউমার্কেট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর