মালবেরি চাষে মিলেছে সফলতা
২২ মে ২০২৩ ০৮:৫৩
নওগাঁ: নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় চাষ হচ্ছে জনপ্রিয় ফল মালবেরি। সাপাহার উপজেলায় সফল কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা নিজের সমন্বিত বরেন্দ্র এগ্রো খামারে মালবেরি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এই সফলতা দেখতে প্রতিদিন আগ্রহী উদ্যোক্তারা তার খামারে আসছেন এবং মালবেরি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
মালবেরি প্রধানত পাহাড়ি এবং শীতপ্রধান দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান এসব দেশে মালবেরি চাষ হয়ে থাকে। পাশের দেশ ভারতের কিছু কিছু এলাকাতেও মালবেরি চাষ হচ্ছে।
সোহেল রানা ধারাবাহিক অনুসন্ধানী উদ্যোগের অংশ হিসেবে চার বছর আগে এগ্রো খামারে অন্যান্য অনেক ফলের সঙ্গে প্রায় ৫০টি মালবেরি গাছের চারা রোপণ করেন। থাইল্যান্ড থেকে সরাসরি এবং ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মালবেরি চারা সংগ্রহ করেন। খামারে তিনি ৮ প্রজাতির মালবেরি চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি মালবেরি উৎপাদিত হয়েছে।
এ বছর প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। চলতি বছর মূল সিজনে প্রতিটি গাছে গড়ে কমপক্ষে ১০ কেজি করে মোট ৫০০ কেজি মালবেরি উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতি কেজি ফল ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে এ বছর মূল সিজনে ২ লাখ টাকার মালবেরি বিক্রি করার আশা তারা।
এছাড়াও গাছগুলোতে বছরে আরও একবার মালবেরি উৎপাদিত হবে। সেখান থেকেও আসবে অতিরিক্ত আয়। অথচ খরচ তেমন নেই বললেই চলে। ব্যবহার করেন কেবলমাত্র জৈবসার। রোগবালাই কিংবা পোকামাকড়ের কোন আক্রমণও হয়নি।
সোহেল রানার এই এগ্রো খামারের সফলতার কাহিনী লোকের মুখে মুখে। তার উপর বিদেশি ফল মালবেরি চাষ ও লাভের কথা শুনে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী লোকজন দেখতে তার খামারে ভিড় করছেন। নিজেরাও মালবেরি চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছেন সোহেল রানার কাছ থেকে।
মালবেরি চাষের অপরা সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই ফল উচ্চমানের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মালবেরি খুব উপকারী। সাপাহারের সোহেল রানার মতো যদি কেউ মালবেরি চাষে এগিয়ে আসেন, তবে কৃষি বিভাগ সবরকমের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।’
সারাবাংলা/এমও