Friday 18 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের লড়াই মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব’

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
২২ মে ২০২৩ ১৮:১৬

ঢাবি: একাত্তরে নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞকে জেনোসাইড বা গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে বক্তরা বলেন, একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের লড়াই মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব। কোনো গণহত্যার স্বীকৃতি না দিলে সেটির পুনরাবৃত্তি হয়। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ মে) ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। আমরা একাত্তর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং প্রজন্ম ৭১ যৌথভাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার মূলকেন্দ্র। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের নৃশংস গণহত্যার নজির নেই। দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল।

বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে সম্মেলন আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান ঢাবি উপাচার্য।

সম্মেলনে সাবেক ডাচ এমপি ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল হ্যারি ভ্যান বোমেল বলেন, গণহত্যা ইতিহাসের অংশ। গণত্যার স্বীকৃতি আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমাদের অবশ্যই এর স্বীকৃতির জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, জেনোসাইড (গণহত্যা) স্বীকৃতি না পেলে সেটির পুনরাবৃত্তি হয়। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। যেমন-আমরা আজকে সেটা দেখতে পাচ্ছি মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যে।

যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সাংবাদিক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির যোগ্যতা রাখে।

নেদারল্যান্ড ভিত্তিক ডায়াসপোরা সংগঠন বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, গণহত্যাকে স্বীকৃতি না দেওয়া অস্বীকার করার শামিল। ১৯৭১ সালে কী ঘটেছে এ বিষয়ে আমাদের নিজেদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রতিটি গণহত্যার স্বীকৃতি থাকা উচিত।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন প্রজন্ম একাত্তরের একেএম আমিনুর রহমান, সাংবাদিক তাওহীদ রেজা নূর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, লে. কর্নেল (অব) সাজ্জাদ জহির, আমস্টারডামের ভ্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অ্যান্থনি হলসল্যাগ, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, ইবিএফের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ প্রমুখ।

সারাবাংলা/আরআইআর/এনইউ

আন্তর্জাতিক সম্মেলন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি গণহত্যা জেনোসাইড টপ নিউজ ঢা‌বি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর