Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আশা করছি যুক্তরাষ্ট্রের শুভবুদ্ধির উদয় হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ মে ২০২৩ ২০:২৮

ঢাকা: স্যাংশন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা হবে কি না সেটা নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এগুলো আমাদের বলে কয়ে তো কোনোদিন করে না। এটা যদি হয় তাহলে দুঃখজনক হবে। যুক্তরাষ্ট্র তো প্রায় দেশে হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা দিয়েই যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা এসব করবে না।

সোমবার (২২ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নতুন স্যাংশনের কোনো কারণ নেই। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটা নির্ভর করে ওই দেশের ওপর।’

সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা অনেক কিছু বলেন, যেন অন্যান্য দেশের জন্য একটা সতর্কবার্তা থাকে। সেটার আক্ষরিক অর্থ কী আমি বলতে পারব না। তবে আমি বলতে পারি যে, বাংলাদেশ বিজয়ী জাতি, আমরা ফেলে দেওয়ার দেশ না।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আগের মতো দারিদ্র্যক্লিষ্ট নই, দানের ওপর থাকি না। জাতি হিসেবে আমাদের গর্ব আছে। আমাদের একটা পজিশন আছে। গর্ব করার মতো বিষয় আছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বিজয় অর্জন করেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ আমাদের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালে আমরা ভড়কে যাব না। আমরা কোনো ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে ঘাবড়ে যাব না। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষমতা রাখি। সমস্যা আসলে আমরা সমাধানের পথ নিশ্চয়ই খুঁজে পাব। আমার মনে হয় এ বার্তাটাই (প্রধানমন্ত্রীর বার্তা) দেওয়া হয়েছে।’

মানবাধিকার, গণতন্ত্র লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে— একটি দৈনিক পত্রিকার এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মোমেন বলেন, ‘ওরা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। খুবই অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর। কোনো রেফারেন্সও দেয়নি। মন্ত্রী হওয়ার আগে ‘চাইনিজ লবিস্ট হিসেবে কাজ করেছি’ এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আমি কোনোদিন চাইনিজ কোম্পানিতে কাজ করিনি এবং লবিস্টও ছিলাম না। বরং বলতে পারেন আমি সারাজীবন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। খুব অদ্ভুত, তারা জেনেশুনে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।’

প্রতিবেদন বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটি খুবই অদ্ভুত ও আশ্চর্যজনক। সেখানে কোনো রেফারেন্সও উল্লেখ করা হয়নি।’ তিনি জানান, সম্প্রতি মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফরে এসে অনেক পরিণত কথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরে কোটার ভিত্তিতে এলএনজি চাইবেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জন্য কাতার একটি প্রধান তেল রফতানিকারক দেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতি হওয়ায় ঢাকা আরও জ্বালানি চাইবে।’

সফরের সময় হয়তো কোনো চুক্তি সই হবে না। তবে এলএনজি আমদানির বিষয়ে আলোচনা অগ্রসর হবে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

উদয় যুক্তরাষ্ট্র শুভবুদ্ধি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর