নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
২৩ মে ২০২৩ ১৩:৩৩
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। তবে তা শেষ হয়নি। আগামী ২০ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন চার্জগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। যা আজ শুনানির জন্য রয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এদিন তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দেন। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করার আদেশ দেন। মামলার বাদী মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। সাক্ষ্য চলাকালে আবারও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তা পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ আট আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিনজন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
সারাবাংলা/এআই/ইআ