Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে, সচেতন ও সতর্ক হোন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ মে ২০২৩ ১৭:০১

ঢাকা: এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এবারের ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে। ডেঙ্গুর প্রকোপ আর যেন না বাড়ে, সেজন্য সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এবছর যেহেতু আশঙ্কা বেশি। তাই এবার যুদ্ধাংদেহি মনোভাব নিয়েই এডিস নিধনে কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আশ্বিন মাস পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট মাত্র দুই জন। এজন্য অতিরিক্ত ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। সেক্ষেত্রে ১০টি অঞ্চলে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মশার উৎস ধ্বংস করাই উদ্দেশ্য। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সংস্থার প্রতি আহ্বান, তারা যেন নিজ নিজ অফিস আদালত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন।

মেয়র বলেন, যে সময়টা আসছে, সেই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তবে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগের তুলনায় এখন এই সমস্যা অনেক কম। তবুও আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য আমাদের সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এডিস মশার বিস্তার কমাতে প্রথমে সচেতনতা চালানো হবে। তারপরও যদি রাজধানীবাসী বাসাবাড়ি পরিষ্কার না রাখে তবে জরিমানা করা হবে।

তিনি জানান, ১৫ জুন থেকে ডেঙ্গু নিধনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে ও অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানের মেয়াদ হবে চার মাস। এর আগে এই অভিযান হতো তিন মাসব্যাপী। এর মাধ্যমে শহরজুড়ে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ সময় মশা নিধনে সরাসরি তথ্য দিতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রতিরোধ। এডিস মশার লার্ভা তৈরি হয় এমন উৎস যত কম হবে তত ডেঙ্গু কমবে। ডেঙ্গু এখন সারা বছরের রোগ। এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, যাতে তাদের আশপাশে পানি জমে না থাকে।

নির্মাণাধীন ভবনগুলোর ক্ষেত্রে রিহ্যাবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন তার দায়িত্ব সম্পর্কে যথাযথভাবেই ওয়াকিবহাল। আমরা আমাদের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করতে চাই। সেক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। অনেক সময় আমরা কোথাও অভিযান পরিচালনা করতে গেলে সহযোগিতার বিপরীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাই, যা কাম্য নয়।

এর আগে বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির। এ সময় তিনি সিটি করপোরেশনের নানা কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু বর্তমানে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না। বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী আজ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু রোগীর হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।

এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধী কার্যক্রম আরও বেগবান করতে প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নজর দেওয়া হবে। আর শহরের কোথাও এক সপ্তাহের মধ্যে কীটনাশক ওষুধ ছিটানো না হলে ইমামদের কাউন্সিলর অফিসে যোগাযোগের জন্যও আহবান জানানো হয় সভা থেকে।

মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতর, ডিএমপি, রাজউক, গণপূর্ত, ওয়াসা, রিহ্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর