ডিআইজি মিজানের ২৫ বছরের কারাদণ্ড চায় দুদক
২৪ মে ২০২৩ ১৭:২৮
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৩ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ২৫ বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এ সাজা দাবি করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
দুদকের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ডিআইজি মিজানের পক্ষে তার আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত আগামী ৩১ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
গত ১৪ মে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে ডিআইজি মিজান, তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। মামলায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
মামলায় এ নিয়ে চার্জশিটভূক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমও