‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে মূল বাধা কোম্পানিগুলো’
২৪ মে ২০২৩ ২২:৩৯
ঢাকা: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বড় বাধা হচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। এ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসার স্বার্থে তরুণদের ধূমপানে আকৃষ্ট করে যাচ্ছে। তরুণরা ধূমপানে আসক্ত হলে দেশের জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করবে। সিগারেট কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সামগ্রিক তামাক নিয়ন্ত্রণ র্কাযক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বুধবার (২৪ মে) হেলথ ইকোনোমিক ইউনিটির সভাকক্ষে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়করী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার। সভায় সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে ৯টি ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপনায় দ্যা ইউনিয়নে’র কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দেশে বাৎসরিক খাদ্য ও মসলা আমদানিতে ব্যয় হয় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। দেশের তামাক চাষের জমিগুলোতে আমদানি নির্ভর পণ্য চাষ করলে খাদ্যের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি দেশে আমদানী নির্ভরতা কমে আসবে। আর এ সমস্যা সমাধানে তামাক চাষ হ্রাসের লক্ষ্যে দ্রুত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্ত করা জরুরি।’
সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি কোম্পানি সিগারেটের বিকল্প এবং কম ক্ষতিকর পণ্য হিসাবে ভেপিং/ই-সিগারেট প্রসারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিগুলোর অর্থায়নে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্মিত হচ্ছে, যা তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও