সিলেটে শিক্ষিত প্রার্থী আনোয়ার- মাহমুদুল, অঢেল সম্পদ বাবুলের
২৫ মে ২০২৩ ১৮:৪৬
সিলেট : সিলেটে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী স্নাতকপাস। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র মেয়র প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান এলএলবি পাস। জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও সম্পদে এগিয়ে। তার রয়েছে দামি গাড়িও।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ১১ জন প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন— আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পাটির্র নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মো. আবদুল হানিফ, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান খান, সামছুন নূর তালুকদার, মো. ছালাহ উদ্দিন, জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. শাহ জাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। মঙ্গলবার প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
হলফনামা সূত্রে জানা গেছে— আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিএ (সম্মান) পাস। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। মামলায় আসামি নন তিনি। বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪ টাকা। আনোয়ারুজ্জামানের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদই আছে ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৮ টাকা। এর বাইরে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে দুটি টিভি, একটি রেফ্রিজারেটর, দুটি এয়ার কন্ডিশনার (এসি) এবং ২ সেট সোফা, চারটি খাট, একটি টেবিল, ১০টি চেয়ার ও দুটি আলমারি আছে। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ৪৭ ভরি স্বর্ণালংকার।
আনোয়ারুজ্জামানের স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩ বিঘা কৃষিজমি, ২৩ শতক অকৃষিজমি, একটি দালান ও একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট আছে। তবে তার কোনো দায় বা দেনা নেই।
স্বশিক্ষিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী। তার বার্ষিক আয় ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৯ টাকা। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা তদন্তাধীন। এছাড়া অতীতে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হলেও সেগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।
নজরুল ইসলামের ২ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। পাশাপাশি অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার একটি বিএমডব্লিউ, একটি টয়োটা প্রাডো, চারটি কার্গো ভ্যান, আটটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল আছে। এ ছাড়া তার স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ১২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে।
নজরুলের স্থাবর সম্পদের মধ্যে ১৩৫ দশমিক ৭৮ শতক অকৃষিজমি, একটি ফ্ল্যাট এবং চারটি দালান ও টিনশেড বাড়ি আছে। তার ৫ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৭ টাকার ঋণ আছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান এলএলবি পাস। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অতীতে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হলেও বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার কোনো দায় বা দেনা নেই। মাহমুদুল হাসানের ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে মাহমুদুলের যৌথ মালিকানায় বাণিজ্যিক দোকান ও বাড়ি আছে। এ সব সম্পদের ৬ ভাগের ১ অংশ তার।
সারাবাংলা/একে