Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ব্রি ধান ২৮ ও ২৯, জায়গা নিচ্ছে নতুন জাত

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ মে ২০২৩ ০৯:০৪

ঢাকা: স্বাধীনতার পর দেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। এই উৎপাদন প্রাচুর্যের অন্যতম পথপ্রদর্শক বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত মেগা ভ্যারাইটি খ্যাত ব্রি ধান ২৮ ও ২৯। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জাত দুটি দেশে ধান উৎপাদনে বিপ্লব এনেছে। উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় উদ্ভাবনের পর থেকেই কৃষকের শীর্ষ পছন্দ ছিল ব্রি ধান ২৮ ও ২৯। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বোরো মৌসুমের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই জাত দুটিতে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। ফলে ধানে চিটা বাড়ছে, কমে যাচ্ছে উৎপাদন।

এক সময় বোরো মৌসুমে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ আবাদ হলেও এখন তা কমে ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। সরকারও এ দুটি ধানের বীজ সংগ্রহকে নিরুৎসাহিত করছে। ধীরে ধীরে বীজ সংগ্রহ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। এক সময় কৃষকের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই দুই জাতের পরিবর্তে উচ্চফলনশীল নতুন জাত আবাদের পরামর্শও এসেছে।

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, এ দুটি জাত অবমুক্ত হয় ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে। কৃষকদের কাছে জাত দুটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২৫ বছর ধরে এ দুটি জাত আমাদের সেবা দিয়েছে, মাঠে চাষ হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। যেহেতু জাত দুটি বেশ পুরনো হয়ে গেছে, নানা রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে বৃদ্ধ হয়ে গেছে; তাই আমরা অন্যান্য জাত দিয়ে এগুলো প্রতিস্থাপন করছি।

তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই ব্রি ধান ২৮ ব্লাস্টে আক্রান্ত হচ্ছে। আর প্রতিটি জাতেরই একটি নির্দিষ্ট জীবনকাল থাকে। ধীরে ধীরে তার শক্তি শেষ হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এজন্যই আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করি। বিজ্ঞানীরা এরইমধ্যে এ দুটি জাতের বিকল্প জাত উদ্ভাবন করেছেন, যা মাঠে চাষ হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস সারাবাংলাকে বলেন, আমরা আগামী বছর থেকে ২৮ ও ২৯ এর বীজ উৎপাদন নিরুৎসাহিত করব। এখন বোরোতে নতুন জাতের ধান উৎপাদনে উৎসাহিত করব।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ২৯ জাতের বীজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হচ্ছে। এই জাতগুলো প্রায় ৩০ বছর ধরে আমাদের সেবা দিয়েছে। কিন্তু ব্রি ধান ২৮-এ এখন ব্লাস্ট দেখা যাচ্ছে। আর ব্রি ধান ২৯ এর জীবনকালও অনেক বেশি। এ দুটি জাতেরই বিকল্প জাত এসে গেছে। কৃষকও এ দুটি জাত চাষে এখন আর আগের মতো আগ্রহ দেখায় না। তারাও নিরুৎসাহিত হচ্ছে। সবমিলিয়ে সরকারিভাবে এ দুটি জাতের ধান আবাদে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

ভৈরবে ব্লাস্ট রোগে নষ্ট ব্রি-২৮ ধান

বীজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ সারাবাংলাকে বলেন, বিএডিসির পক্ষ থেকে এ বছর ব্রি ধান ২৯ এর বীজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার টন। আর ব্রি ধান ২৮ এর লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ব্রি ধান ২৮ এর বীজ সংগ্রহ আরও কমিয়ে আনা হতে পারে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, ব্লাস্টের কারণে ও উৎপাদন কমে যাওয়ায় ব্রি ধান ২৮ এর উৎপাদন ক্রমাগত কমিয়ে আনা হবে। এটি পুরাতন ভ্যারাইটি। ধীরে ধীরে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সেখানে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাত, যা অধিক উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তা দিয়ে রিপ্লেস করা হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য নতুন নতুন জাতের দিকে যেতে হয়। বীজগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে উৎপাদন ক্ষমতা হারায় এবং সেখানে নানা ধরণের রোগ বালাই দেখা দেয়। সেকারণেই ওই দুটি জাতের পরিবর্তে আমাদের নতুন জাতের দিকে যেতে হচ্ছে।

পাঁচ বছরের উৎপাদন চিত্র

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর আবাদ ধীরে ধীরে কমছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৮ আবাদ হলেও ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমিতে জাতটি আবাদ হয়েছে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের ব্যবধানে ব্রি ধান ২৮ এর আবাদ কমেছে প্রায় অর্ধেক। হেক্টর প্রতি ধানটির গড় ফলনও কমে গেছে। পাঁচ বছর আগে যেখানে হেক্টর প্রতি উৎপাদন ছিল ৩ দশমিক ৮০ টন, সেখানে বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ টন। একইভাবে ৫ বছরের ব্যবধানে ব্রি ধান ২৯-এর আবাদ ১৩ লাখ ১২৯ হেক্টর থেকে কমে ১০ লাখ ১০ হাজার হেক্টরে নেমে এসেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৮ আবাদ হয়, বছরটিতে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ছিল ৩ দশমিক ৮০ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৮ আবাদ হয়, গড় ফলন ছিল ৩ দশমিক ৭৮ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৮ আবাদ হয়, গড় ফলন ছিল ৩ দশমিক ৮৬ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ব্রি ধান-২৮ আবাদ হয় ৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৯২ হেক্টর জমিতে, গড় ফলন ছিল ৩ দশমিক ৭৩ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্রি ধান-২৮ এর আবাদ আরও কমে নেমে আসে ৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমিতে, বছরটিতে ব্রি ধান-২৮ এর গড় আবাদ ছিল ৩ দশমিক ৭৭ টন।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ১৩ লাখ ১২৯ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৯ আবাদ হয়, বছরটিতে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ছিল ৪ দশমিক ৩০ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২ লাখ ৯০ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৯ আবাদ হয়, গড় ফলন ছিল ৪ দশমিক ২৮ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯১ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-২৯ আবাদ হয়, গড় ফলন ছিল ৪ দশমিক ৩২ টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ব্রি ধান-২৯ আবাদ হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৭ হেক্টর জমিতে, গড় ফলন ছিল ৪ দশমিক ২৯ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্রি ধান-২৯ এর আবাদ আরও কমে নেমে আসে ১০ লাখ ১০ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে, বছরটিতে ব্রি ধান-২৯ এর গড় আবাদ ছিল ৪ দশমিক ২৮ টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী এ বিষয়ে সারাবাংলাকে বলেন, বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর আবাদ আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। এক সময় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জমিতে এ দুটি জাত আবাদ হলেও এ বছর বোরো মৌসুমে মোট আবাদি জমির এক তৃতীয়াংশ জমিতে জাত দুটি আবাদ হয়েছে। অর্থাৎ, জাত দুটির আবাদ এখন ৩০ শতাংশের কাছাকাছি।

কৃষকরা যা বলছেন

ব্রি ধান ২৯ এর প্রতি এখনও বেশ আগ্রহ রয়েছে কৃষকের। তবে ব্রি ধান ২৮ আবাদ করে অনেকেই হতাশ। আগামী বছর থেকে এ জাতটির আবাদ আরও কমিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।

লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব কাদমা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক সারাবাংলাকে বলেন, আমরা ২৮ ধান এখন আবাদ করি না। এর ফলন কম। জমিতেই ধান পড়ে যায়। আবার ভাত রাঁধলে বেশিক্ষণ ঠিক থাকে না, অর্থাৎ ভাত নরম হয়। আবার ২৯ তুলনামূলক চিকন, ভাতও ভালো হয়। ফলন অনেকটা আগের মতোই আছে। এবার ফলন বিঘা (২৭ শতক) প্রতি ২২ মণ করে হয়েছে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কৃষক মোস্তফা বলেন, এবার ২৮ ধানের ফলন হয়নি। ধান হওয়ার পর ছড়া মারা গেছে। অর্ধেকের বেশি ধান চিটা হয়ে মারা গেছে। কাঠায় (পৌনে ৭ শতাংশ) মাত্র ১ মণ ধান হয়েছে। একেবারেই ফলন হয়নি। তবে ২৯-এর ফলন ভালো হয়েছে।

একই কথা বলেন নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের কৃষক মো. শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, এবার ২৮ ধানের ফলন ভালো হয়নি। ধানে চিটা হয়ে গেছে। অন্যবারের চেয় ফলন কম হয়েছে। তবে ২৯ ধানের ফলন ভালোই হয়েছে।

প্রায় একই ধরণের তথ্য দিয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার কৃষক কাজল চৌধুরী বলেন, হাওরে এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ব্রি ধান- ২৮ ও ২৯ এর ফলন খুব খারাপ হয়েছে। তবে যারা ৮৮ ও ৮৯ ধান করেছে তাদের ফলন ভালো হয়েছে।

বিকল্প জাত মাঠে

ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর বেশ কয়েকটি বিকল্প জাত ইতোমধ্যেই আবিষ্কার করা হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বেশ কয়েকটি জাত ২৮ ও ২৯ এর জায়গা নিতে পারে। এসব জাতও উচ্চফলনশীল এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন। আগামী বছরগুলোতে এসব কোনো কোনো জাত কৃষকের আস্থায় চলে যাবে। অবদান রাখবে ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান বলেন, ব্রি ধান ২৮ এর বিকল্প হিসেবে এরই মধ্যে ব্রি ধান ৬৩, ৮৮, ৮৯, ব্রি ধান ১০০ বা বঙ্গবন্ধু, বিনা-২৫ মাঠে চাষ হচ্ছে। ব্রি ২৯ এর বিকল্প হিসেবে ব্রি ধান ৫৮ মাঠে চাষ হচ্ছে। অর্থাৎ, ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর বিকল্প হিসেবে মাঠে এরইমধ্যে জাত এসে গেছে। ধীরে ধীরে এসব জাতের কোন একটি বা একগুচ্ছ জাত ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর জায়গা দখল করবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, এই জাতগুলোর বিকল্প হিসেবে নতুন অনেক জাত এরইমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। ব্রি ধান ২৮ এর বিকল্প ও পরিবর্তক হিসেবে ব্রি ধান ৮১, ৮৬, ৮৮, ৯৬, ১০০ ও ১০২ উদ্ভাবিত হয়েছে এবং মাঠে আবাদ হচ্ছে। আর ব্রি ধান ২৯ এর বিকল্প হিসেবে ব্রি ধান ৮৯, ৯২, ৭৪ ও ১০৫ মাঠে আবাদ হচ্ছে। ধীরে ধীরে পুরনো ওই দুই জাতের স্থলে নতুন জাত আবাদ হবে।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ এর বিকল্প হিসেবে বিনা ২৪, বিনা ২৫ ও বিনা ১০ আবাদ করা যেতে পারে। জাতগুলো খুবই উচ্চফলনশীল। এছাড়া ব্রি ৮৯, ৯২ ও ৮৮ ওই দুটি জাতের বিকল্প হিসেবে আবাদ করা যেতে পারে। এসব জাত এরইমধ্যে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে।

জাত প্রত্যাহারে সতর্কতার পরামর্শ

তবে হঠাৎ করে একসঙ্গে জাত প্রত্যাহারের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ অনেক পুরনো জাত। এতে ব্লাস্টের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। কৃষকরাও জাত দুটির আবাদ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। সরকারও জাত দুটি আবাদে নিরুৎসাহিত করছে। তবে সব জায়গায় জাত দুটিতে ব্লাস্ট হয় না। তাই জাত দুটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া উচিত হবে না।

তিনি বিলেন, কোনো জাত একেবারে উঠিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। কৃষকের কাছে এ দুটি ধানের বীজ রয়েছে। আবার ২৮ ও ২৯ এর বিকল্প হিসেবে যেসব জাত উদ্ভাবিত হয়েছে, সেগুলোর বীজ বোরো মৌসুমের বীজের পুরো চাহিদা মেটাতে সক্ষম কিনা তাও ভাবতে হবে। তাই ধীরে ধীরে সতর্কতার সঙ্গে জাতগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই

ব্রি ধান ২৮ ব্রি ধান ২৯ ব্লাস্ট রোগ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর