স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা মামলায় দাদুর সাক্ষ্যগ্রহণ
২৮ মে ২০২৩ ১৫:১১
ঢাকা: সাভারে দশম শ্রেণির ছাত্রী নীলা রায়কে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দাদু পবিত্র মন্ডল সাক্ষ্য দিয়েছেন। পবিত্র মন্ডল নীলার মায়ের মামা।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। তবে এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন হাজতি আসামি মিজানুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা সাকিব ও সেলিম পালোয়ানও আদালতে হাজির ছিলেন।
২০২২ সালের ৩ আগস্ট তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নির্মল কুমার দাস গত বছর ২৮ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভূক্ত অপর দুই আসামি হলেন- মিজানের সহযোগি সেলিম পালোয়ান ও সাকিব হোসেন।
চার্জশিটে মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান এবং মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রিকশায় করে ভাইয়ের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলা রায়কে ছিনিয়ে নেন মিজানুর রহমান মিজান। তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। নীলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার নারায়ণ রায়ের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে সাভার পৌর এলাকার কাজী মোকমাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। স্থানীয় এ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
নীলার পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান মিজান। আব্দুর রহমান-নাজমুন্নাহার দম্পতির সন্তান মিজান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নীলা তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণেই তিনি হত্যা করেছেন নীলাকে। এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে মিজান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে সাভার থানায়টি মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/ এনইউ