।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শুধু ডিগ্রি অর্জন করলেই চলবে না, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আমাদের লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে অধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা।’
বুধাবার (৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বর্তমান প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তোলা যেন তারা বর্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ওঠে এবং নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে। আর এ জন্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসসহ সকল প্রকার ব্যয় একটি সীমার মধ্যে রাখাতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করবে। তাদের সৃষ্ট নতুন জ্ঞান আমাদের জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। আর এ জন্য বিষয় নির্বাচন, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১২ সালে আমরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জন করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রী হার ৫১ শতাংশ ও ছাত্র হার ৪৯ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রী হার ৫৩ শতাংশ ও ছাত্র হার ৪৭ শতাংশ। আগামী ৩ বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ও ৬ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।’
সমাবর্তনে উপস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘শুধু দৌঁড়ালেই চলবে না। থামতেও শিখতে হবে। শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা পরিহার করে বর্জন করার মানসিকতা অর্জন করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সহিষ্ণুতা আনা না গেলে অর্জনটা স্থায়ী হবে না। সভ্যতার সব কল্যাণের মূলে রয়েছে শিক্ষা। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমৃদ্ধি অর্জনেও শিক্ষার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, ‘তোমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথে অসংখ্য বাধা-বিঘ্ন, প্রলোভন, ঝুঁকি আসবে এটাই স্বাভাবিক, এটা জীবনের চিরন্তন নিয়ম। কিন্তু তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। আত্ম-শক্তিতে বলীয়ান হয়ে, ধৈর্য্য ও সাহসের সঙ্গে এবং সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডা. এ এম শামীম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হতে হবে। জীবনে অনুশোচনা করা যাবে না। আজকেই কাজ শুরুর জন্য সেরা দিন। মোবাইলে চোখ না রেখে মা-বাবার দিকে নজর দিতে হবে।’
এসইউবির ৫ম সমাবর্তনে ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীদে মধ্যে চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত হয়েছেন দুজন। এরা হলেন, ফার্মাসি বিভাগের ২০ তম ব্যাচের মোছা. শারমিন আখতার ও জেসিকা যুথি। ভাইস-চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন মোট ২১ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মোট ৪৪ জন শিক্ষার্থী।
সারাবাংলা/জেজে/আইএ/এমআই