Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইজারের ভ্যাকসিনে এ সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে বুস্টার ডোজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২৩ ১৭:২৩

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কোভ্যাকস ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ফাইজারের ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেইনিং ভ্যাকসিন) হাতে পাওয়া গেছে। এই ভ্যাকসিন তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য দেওয়া শুরু হবে। এই সপ্তাহ থেকেই দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা ফাইজার থেকে ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছি। তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ তথা বুস্টার ডোজ হিসেবে দেব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন রয়েছে। ট্রায়ালের কাজ শেষ করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন, তারা তৃতীয় ডোজ পাবে। এবং চতুর্থ ডোজে ক্রাইটেরিয়া আমরা করেছি, তার মধ্যে ষাটোর্ধ্ব যারা জনগোষ্ঠী, তাদেরকে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন। যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগী, তাদেরকে এই ভ্যাকসিন এবং যারা ১৮ বছরের উপরে রয়েছেন, ক্রনিক অসুস্থ তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে চতুর্থ ডোজ হিসেবে। এছাড়া গর্ভবতী এবং সম্মুখসারির যোদ্ধা যারা পায়নি চতুর্থ ডোজ তাদেরকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিনটি যেন সফলভাবে দিতে পারি। যারা ভ্যাকসিন নেননি, তারা ভ্যাকসিন নিয়ে যেন নিজেদের ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষা দিতে পারে সে উদ্যোগ নিয়েছি।’

ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়েছে বলে করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করছে না। আমাদের মাস্ক পরার অভ্যাস চালু, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।’

কবে থেকে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সংবাদ সম্মেলন করে জানান দিলাম। এই সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে যাবে। আমরা এরইমধ্যে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সম্পন্ন করেছি। ইমেডিয়েটলি দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

এখন যেহেতু লোকের সংখ্যা কম, কেউ ভ্যাকসিন কেন্দ্র গেলেই আমরা দিয়ে দিই, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে। সেই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮.৫১ ভাগ মানুষকে প্রথম ডোজ, ৮২.১৮ ভাগ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ, ৩৯.৬২ ভাগ মানুষকে তৃতীয় ডোজ এবং ১.৮৫ ভাগ মানুষকে চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন এরইমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা যে কোনো সময় বাড়তে পারে বলে, সে ধরনের আশঙ্কা আমরা পাচ্ছি না। টিকাদান চলমান রয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার সংখ্যা কম। কারণ, আক্রান্তের সংখ্যা কম এবং মৃত্যুও নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমি জেনেভা থেকে এসেছি। সেখানে দেখলাম একটি লোকও মাস্ক পরেনি। সেখানে যে রোগী হচ্ছে না দু একটি করে তা নয়। আমাদের এখানেও দু’একটি করে রোগী পাচ্ছি। ইদানিং কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে তেমন কোনো রোগী নেই। যেহেতু টিকা সবাই নিয়েছে সে জন্য করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলব, করোনা যেহেতু আছে আমাদের সতর্ক থাকাটা ভালো। যেখানে বেশি লোকের সমাগম হয় সেখানে মাস্ক পরতে পারলে ভালো। করোনা মোকাবিলার জন্য যেসব অভিজ্ঞতা আমরা সঞ্চয় করেছি, সেগুলো আমাদের মনে রাখা উচিত।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/একে

করোনার ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর