Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রংপুর মেডিকেলে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২৩ ১৯:১৩

রংপুর: একদিকে প্রখর রোদ, অন্যদিকে তীব্র গরম। এ সব কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।

এদিকে রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে পর্যাপ্ত শয্যা তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় চিকিৎসা নিতে এসে বিপাকে পড়ছেন রোগী ও স্বজনরা। তাদের কেউ কেউ সেবা না নিয়েই বাড়ি ফিরছেন। অনেকে আবার ছুটছেন প্রাইভেট হাসপাতালে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ মে) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড, মেডিসিন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, রোগী ও স্বজনদের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডের প্রতি শয্যায় একজন করে রোগী ভর্তি থাকার কথা থাকলেও রয়েছে দুজন রোগী ভর্তি। এতে চরম বিপাকে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা।

অন্যদিকে মেডিসিন ওয়ার্ডে অনেকেই বেড না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই অতিদ্রুত হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডেই পর্যাপ্ত শয্যার বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে দুই মাসের ছেলে আফসানকে চিকিৎসা করাতে এসেছেন মা হালিমা বেগম। তিনি জানান গত ১৪ দিন থেকে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে তার সন্তান। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার সন্তানের নিউমোনিয়া হয়েছে। তবে তার সন্তান সুস্থ্যের পথে। আগামীকাল ছাড়পত্র দিবেন।

তবে হাসপাতালের বেডে দুজন করে রোগী ভর্তির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, ‘এটি কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। ওয়ার্ডের ভেতরে একে তো চাপাচাপি, অন্যদিকে গরম। এ কারণে রোগী এবং স্বজনদের অনেক সমস্যা হয়।’

মুসলিমা বেগম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থেকে গতকাল রাতে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে আমার সন্তানকে। কয়েকদিন থেকে ডায়রিয়ার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছিল। এখানে চিকিৎসা করাতে এসে ওয়ার্ডে ঠাসাঠাসির কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ শিশু ওয়ার্ডে যেন শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়।’

বিজ্ঞাপন

রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ষাটোর্ধ বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে বিপদেই পড়ে গেছি। কোন বেড না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে।’

হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবু রায়হান মো. সুজা-উদ-দৌলা বলেন, ‘ওয়ার্ডে ৮০টি শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৬৯ জন শিশু। এরমধ্যে ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ভর্তি আছেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সব রোগীকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিতে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে সারাবছর সব ধরনের রোগীই আসে। এর মধ্যে ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়া রোগটা গরম এলেই বেশি দেখা যায়।’

বড়দের তুলনায় শিশুরাই বেশি ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়া আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে এই শিশু বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে শিশুরা যেন রোদে না যায়। ঘরে অবস্থান করলেও দরজা জানালা খুলে বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।’

এই বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, ‘শিশু ওয়ার্ডে বেড বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

সারাবাংলা/একে

ডায়রিয়া নিউমোনিয়া রংপুর মেডিকেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর