Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তুচ্ছ ঘটনায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গ্রেফতার ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২৩ ২০:৫১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। হত্যাকাণ্ডের পর তারা চট্টগ্রাম নগরী থেকে পালিয়ে রাঙামাটি চলে গিয়েছিল বলে জানায় র‍্যাব।

সোমবার (২৯ মে) সকালে রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গ্রেফতার চারজন হলেন- আবু তাহের রাজীব (২৩), দেলোয়ার হোসেন জয় (২৭), রায়হান সজীব (২২) ও আবুল হাসনাত রানা (৩০)। স্থানীয়ভাবে এরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রামপুর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

রোববার সকালে নগরীর পাহাড়তলী থানার হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় আজাদুর রহমান (৩০) নামে স্থানীয় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়।

র‍্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক নুরুল আবসার সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনজনকে রাঙামাটি শহরের একটি আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীর বাসস্ট্যান্ড থেকে আরও আবুল হাসনাত রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, আজাদ ও তার বড় ভাই মফিজ নয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। শনিবার (২৭ মে) রাতে খোলা জায়গায় এক যুবক প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিচ্ছিল। বাধা দেয়ায় যুবকের সঙ্গে আজাদ ও তার ভাইয়ের ঝগড়া হয়। ডিউটি শেষে ভোরে বাসায় ফেরার পথে আজাদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত আজাদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর আগে আজাদের দেয়া একটি ভাষ্যের ভিডিও পরবর্তীতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, আজাদ তার হত্যাকারী হিসেবে ওসমান ও রাজু নামে দু’জনকে দায়ী করেছেন। তারা এখনও পলাতক আছে।

আজাদের স্বজনদের দাবি, নয়াবাজার এলাকায় রাস্তার দোকান ও পার্কিং থেকে নিয়মিত চাঁদা নিত প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী সন্ত্রাসীরা। আজাদ বাধা দেয়ায় তার সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময় বাধা দেয়ার ঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। ভোরে আজাদকে হত্যা করা হয়।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজাদের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদি হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওসমান, রাজীব, রাজু ও ফয়সাল নামে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও তিন থেকে চারজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ঘটনায় জড়িত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।

র‌্যাবের গ্রেফতার করা চারজনের তিনজনের নামই মামলার এজাহারে নেই। প্রাথমিক তদন্তে তাদের সম্পৃক্ততা পেয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবসার।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর