Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগামীতে চরম দারিদ্র্য বলে দেশে কিছু থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩০ মে ২০২৩ ১৫:০৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সরকারের টানা মেয়াদে স্থিতিশীল পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্থিতিশীল পরিবেশই হচ্ছে বাংলাদেশের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আর গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে। আগামী দিনে চরম দারিদ্র্য বলে বাংলাদেশে কিছু থাকবে না।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে ক্ষমতায় থাকার ফলে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় আছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০০৮ থেকে ২০২৩, এই ১৪ বছরে বাংলাদেশে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজমান। ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। আজকে তা কমে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, আজকে তা ৫ দশমিক ৬শতাংশ হয়েছে। আগামী দিনে চরম দারিদ্র্য বলে বাংলাদেশে কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে জিডিপি আকার ২০০৬ সালে মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী পহেলা জুন নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিতে আমরা সক্ষম হব। এটা সম্ভব হয়েছে কেন? সম্ভব হয়েছে একটি কারণে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। আজকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান। এর মাঝে অনেক ঝড়-ঝাপটা এসেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশে স্থিতিশীলতা থাকে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকে, তখনই দেশ উন্নতি করতে পারে। আর তার জন্য লাগে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আমাদের প্রত্যেকটা প্ল্যান-প্রোগ্রাম টারগেটেড এবং
টাইম বাউনন্ডেড।’

বিজ্ঞাপন

২০০৭ সালে ১/১১’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাব-জেলে বন্দি থাকার স্মৃতিচারণ করেন এবং সরকার গঠন করলে কি কি করবেন সেই পরিকল্পনা নোট করে ডায়েরিতে লিখে রাখার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি সময়টা নষ্ট করিনি। তখন বসে বসে লিখেছিলাম যে যদি সরকারে যাই কোনো সালের মধ্যে কি কি করব?’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা কার্যকর হবে ২০২৬ সালে। এ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। একইসঙ্গে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি, ২০৩০ সেটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও আমরা অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।’

সমাবর্তনের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট জনগোষ্ঠী চাই। যারা আজকে ডিগ্রি পেয়েছেন শুধু বাংলাদেশ না, নিজের স্ব স্ব দেশে যেও আপনাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।’

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর ও ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বক্তব্য দেন। সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর