চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে তৃতীয় লিঙ্গের একজনের বাসা থেকে চার কিশোরীকে উদ্ধারের পর তাকেসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রেলস্টেশন থেকে ভাসমান কিশোরীদের ফুসলিয়ে নিয়ে জিম্মি করে যৌনকর্মে বাধ্য করতেন তারা।
সোমবার (২৯ মে) রাতে নগরীর বন্দর থানার ইছাক ডিপো টোল প্লাজার অদূরে একটি ঘর থেকে কিশোরীদের উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার পাঁচজন হল— তৃতীয় লিঙ্গের শ্রাবন্তী (৩৪) ও তার সহযোগী নারী মিতু আক্তার কাজল (১৯) এবং আমির হোসেন (৩৫), মো. জামাল (৫২) ও আব্দুল জলিল(৫৫)।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা সারাবাংলাকে জানান, ইছাক কনটেইনার ডিপোর অদূরে বাইপাস রোডের ধারে টিনের ভাসমান ঘর বানিয়ে শ্রাবন্তী বসবাস করেন। সেই ঘরকে যৌনকর্মের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেখান থেকে ১৩ বছর বয়সী একজন ও ১৪ বছরের তিনজনসহ মোট চার কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ওই বাসা থেকেই শ্রাবন্তীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। একজন পালাতে সক্ষম হয়।
ওসি সঞ্জয় বলেন, ‘শ্রাবন্তী হিজড়া রেলস্টেশনে ঘোরাঘুরি করেন। সেখানে ভাসমান শিশু-কিশোরীদের চাকরি ও লালনপালনের প্রলোভন দেখায়। রাজি হলে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। শ্রাবন্তীর সঙ্গে আরও কয়েকজন আছেন, তারা অবশ্য হিজড়া নন। তারাসহ মিলে শ্রাবন্তীর কিশোরীদের টাকার বিনিময়ে যৌনকর্মে বাধ্য করে। রাজি না হলে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়।’
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।