‘শিশুর পুষ্টির জন্য এক ডলার খরচে ফেরত আসবে সাড়ে ৪ ডলার’
৩০ মে ২০২৩ ২০:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ‘দি ইকোনমিক্স অফ চাইল্ড আন্ডার-নিউট্রিশান ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক্স এবং ইডিউ ইকোন এক্যুমেন সোসাইটি’র সহযোগিতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর বাংলাদেশের শিশু পুষ্টিহীনতার প্রভাব নিয়ে আলোচনা এবং আর্থিক বিশ্লেষণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়ার ‘হেলথ পলিসি এন্ড ম্যানেজমেন্ট’অনুষদের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান ড. এম. মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, ‘পুষ্টিহীনতার কারণে একজন শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত হওয়া ছাড়াও পরিণত বয়সে একজন সক্ষম শ্রমিক বা কর্মজীবী হিসেবে গড়ে উঠতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ফলে তারা বিভিন্ন খাতে কাম্য অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়।’
শিশুর পুষ্টিহীনতা রোধে প্রতি ১ ডলার বিনিয়োগে ভবিষ্যতে তা দেশের জন্য প্রায় ৪ দশমিক ৫৮ ডলার এর সমান বিনিয়োগ সুবিধা দেবে জানিয়ে এম. মাহমুদ খান আরও বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই শিশু পুষ্টিহীনতার পরিমাণ বেশ প্রবল। বাংলাদেশের শিশু অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে এবং তা পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোর তুলনায় বেশ ভাল। বাংলাদেশ সরকার এবং এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোর সমন্বয়ে নিয়মিত গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’
‘রিসার্চ অনুযায়ী, শিশুর পুষ্টিহীনতা রোধে প্রতি ১ ডলার বিনিয়োগে ভবিষ্যতে তা দেশের জন্য প্রায় ৪ দশমিক ৫৮ ডলার এর সমান বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করবে।’
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সিকান্দার খান, কোষাধ্যক্ষ শামস-উদ-দোহা ও রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া। এসময় মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।