রিজার্ভে মেটানো যাবে সাড়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয়: অর্থমন্ত্রী
১ জুন ২০২৩ ১৬:১৩
ঢাকা: দেশের বিদ্যামান রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘বাজেটের আকার ২০০৭-০৮ অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট সাড়ে নয়গুণের বেশি বৃদ্ধি করে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে অর্ধেকেরও বেশি কমে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে তিন-চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ (অনুদান ছাড়া) দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদানসহ এ ঘাটতি দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি পূরণে সরকার কোনো খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করেছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস