বয়স্ক ভাতা ১০০ ও বিধবা ভাতা ৫০ টাকা বাড়ছে
১ জুন ২০২৩ ১৬:২৪
ঢাকা: আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছে। বিধবা ভাতা ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির অর্থও বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে উত্থাপিত বাজেটে এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম খাতে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি, যা বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।’
আগামী অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং বর্তমান আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে যৌক্তিকভাবে সাজিয়েছি। আগামী অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা খাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তনের প্রস্তাবসমূহ আপনার ও দেশবাসীর অবগতির জন্য তুলে ধরছি।’
তিনি বলেন, ‘বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭ দশমিক শূন্য ১ লাখ থেকে ৫৮ দশমকি শূন্য ১ লাখ জনে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা হতে ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হবে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ দশমিক ৭৫ লাখ থেকে ২৫ দশমিক ৭৫ লাখে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৩ দশমিক ৬৫ লাখ হতে ২৯ লাখ জনে বৃদ্ধি করা হবে। প্রতিবন্ধী ডাটাবেজের আওতাভুক্ত সকলকে এ ভাতার আওতায় আনা হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা হতে ৯০০ টাকায়, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা হতে ৯৫০ টাকায় এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ টাকা হতে ৯৫০ টাকায় বৃদ্ধি করা হবে। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ জন হতে ৬ হাজার ৮৮০ জনে উন্নীত করা ও বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬০০ জন হতে ৫ হাজার ৬২০ জনে বৃদ্ধি করা হবে।’
‘অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমে উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৫৭৩ জন হতে ৮২ হাজার ৫০৩ জনে বৃদ্ধি করা এবং বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৫০ জন হতে ৫৪ হাজার ৩০০ জনে উন্নীত করা হবে। উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ হাজার ৯০৩ জন হতে ২৬ হাজার ২৮৩ জনে বৃদ্ধি করা হবে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার জন হতে ১৩ লাখ ৪ হাজার জনে উন্নীত করা হবে। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর ভাতার হার দৈনিক ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকায় বৃদ্ধি করা হবে’— বলে অর্থমন্ত্রী।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস