জাপানের সর্ববৃহৎ আইটি মেলায় বাংলাদেশ
৯ মে ২০১৮ ১৬:১৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জাপানের সর্ববৃহৎ আইটি মেলা জাপান আইটি উইক-এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এই মেলায় অংশ নিয়েছে।
বুধবার (৯ মে) সকালে টোকিওর বিগ সাইটে তিন দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে জাপানের আইটি মেলায় নিয়মিত অংশ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
জাপানের বাংলাদেশ মিশন থেকে এদিন (বুধবার) দুপুরে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, মেলায় বিভিন্ন দেশের তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্টল ও বুথের পাশাপাশি বাংলাদেশের ১৬টি আইটি প্রতিষ্ঠান তাদের নানা ধরনের তথ্য-প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করছে। এছাড়া বুথভিত্তিক আলোচনা ও সেমিনারের আয়োজন থাকছে এবারের মেলায়।
মেলার শুরুতে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধার এবং তথ্য ও প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে কথা বলেন। মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান এবং দূতাবাস থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এশিয়ার তথ্য ও প্রযুক্তিবিদদের জন্য জাপান আইটি উইক এক অনন্য প্লাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এবং ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং ব্যবসা সম্প্রসারিত করার সুযোগ পান।
প্রতিনিধি দলের মেলায় অংশ নিয়ে উদ্যোগ নেয় জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। সহযোগিতা করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)।
জাপানের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে প্রচুর দর্শক ও আগ্রহী ব্যবসায়িদের সমাগম হয়েছে। তাদের কেউ বুথ ভিত্তিক আলোচনা করছেন, আবার অনেকে আইসিটি ও অন্যান্য বিভাগের প্রেজেন্টেশন মনোযোগ দিয়ে শুনছেন।
মেলাটি জাপান-বাংলাদেশ আইটি সম্পর্ক গভীর করতে সহযোগিতা করার পাশাপাশি বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এমনকি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ যোগাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ মিশন।
সারাবাংলা/জেআইএল/এটি
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook