বাজেট দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে: বেসিস
১ জুন ২০২৩ ২৩:০১
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সফটওয়্যারের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দেশে সফটওয়্যারের দাম বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেটে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে, দেশীয় সফটওয়্যারের শিপ্লের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সফওয়্যার শিল্পের শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এ কথা বলেন।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, এবারের বাজেটে অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেজ, ডেভেলপমেন্ট টুলস ও সিকিউরিটি সফটওয়ারের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এসব সফটওয়্যার/ টুলস দেশে তৈরি হয় না। অপারেটিং সিস্টেম ও সিকিউরিটি সফটওয়্যার সকল পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে ডেটাবেজ এবং ডেভেলপমেন্ট টুলস ব্যবহার করে সবধরনের সফওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়। এরপরও সফটওয়্যারের উৎপাদন ও কাস্টমাইজেশন পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই হারে শুল্ক এবং কর বৃদ্ধি পেলে সঙ্গতকারণেই দেশীয় সফটওয়্যার উৎপাদনসহ সব পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা ব্যবহারকারীদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশীয় সফটওয়্যারের শিপ্লের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। আমি এই শুল্ক এবং কর প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ইতিহাসের বৃহত্তম এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে এবারের বাজেটের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ডলার সংকটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায়।
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের চূড়ান্ত আকার (ব্যয়) ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয় ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।
বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে