Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করপোরেট কর না কমালে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়বে: ডিসিসিআই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০২৩ ২৩:১৮

ঢাকা : প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট করের হার না কমানোর ফলে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

তিনি বলেন, বাজেটে নন-লিস্টেড কোম্পানির কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস করা প্রয়োজন। করপোরেট করের হার এবং ক্যাশ লেনদেনের সীমা ৩৬ লাখ টাকার পরিবর্তে বার্ষিক খরচের ভিত্তিতে নির্ধারণ করার দাবি জানিয়ে তা পুনঃবিবেচনার জন্য দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি কর্পোরেট কোম্পানীর উইথহোল্ডিং কর রিটার্নের সংখ্যা ২৯টির পরিবর্তে ১২টিতে নামানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ডিসিসিআই আয়োজিত এক তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত ব্যক্তিগত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করেছে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে সেটিকে ৫ লাখ টাকা করা প্রয়োজন। এছাড়াও করযোগ্য নয় এমন টিনধারীদের ওপর নূন্যতম ২০০০ টাকা আয়কর আরোপের সিদ্ধান্ত, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর উপর করের বোঝা তৈরি করবে।’ তাই এ প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান।

ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোনের উৎপাদনের ওপর ভ্যাট আরোপের কারণে এর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে, ফলে আমাদের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাই এটা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও সফটওয়্যার, ইলেটকট্রনিক্স, সোলার এনার্জি, লিফট ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি খাতের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ১০% হতে ১৫% বৃদ্ধির কারণে এখাতসমূহে স্থানীয় শিল্পের সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হবে।’

জ্বালানী খাতে মূল্য সহনীয় রাখতে বাজেটে ১৩ ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু ও ভ্যাট প্রত্যাহরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ডিজেল আমদানিতে ৫% ডিউটি কমানোর পাশাপাশি উৎসে কর সমন্বয় করার বিধানের কারণে তেলের মূল্য কমবে। যেটি মূল্যস্ফীতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সারের দাম কম রাখতে গ্যাসের মূল্য কমানোর পাশাপাশি এ খাতে ব্যবহৃত ডিজেলে দাম কমানো প্রয়োজন। কৃষিখাতের আধুনিকায়নে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর অব্যাহত অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটে ব্যাংকিং খাত হতে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ১৪.৭০ শতাংশ বেশি। সরকারের এ ব্যাংক নির্ভরতা বৃদ্ধির কারণে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে ব্যাগেজ রুল সংশোধন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

জাতীয় বাজেট ডিসিআই বাজেট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর