Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী, বাস্তবসম্মত নয়: সিপিডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ জুন ২০২৩ ১২:১৭

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন সূচকের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা ‘উচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়’ বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

শুক্রবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪, সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ মন্তব্য এসেছে।

বিজ্ঞাপন

ব্রিফিংয়ে সংগঠনটির পর্যালোচনা তুলে ধরছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এসময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রায় যে চমক দেখানো হয়েছে, তা ‘উচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়’।

তিনি বলেন, বর্তমানে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে দেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই কঠিন সময়ে বাজেটে কঠিন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া সুযোগ ছিল কিন্তু তা নেওয়া হয়নি।

এদিকে, যাদের আয় করমুক্ত আয়সীমার নিচে তাদের করসনদপত্র পেতে নূন্যতম দুই হাজার টাকা কর দেওয়ার উদ্যোগ ‘বৈষম্যমূলক ও সাংঘর্ষিক’। এটি অন্যায্য। এটি সামগ্রিক কর কাঠামোর সঙ্গেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন মন্তব্য করেছেন ফাহমিদা খাতুন।

ব্রিফিংয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যক্তিখাতের কর কাঠামোতে করমুক্ত আয়সীমা তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে এটি একটি ভালো বিষয়। নারী, প্রবীণসহ সবার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে, সেটিও ভালো বিষয়৷ একদিকে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে, আরেকটি করমুক্ত আয়সীমার নিচে যারা তারা যদি ৩৮টি সরকারি সেবা নিতে যায় তাকে রিটার্ন সার্টিফিকেটে পেতে দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে, এটি বৈষম্যমূলক ও সাংঘর্ষিক। কর কাঠামোর মূল উদ্দেশ্যটাই কিন্তু নষ্ট হয়ে গেল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আবার ধনীদের সম্পদে আরও বেশি সারচার্জে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে ধনীদের সুযোগ দিয়ে নিম্ন শ্রেণির ওপর চাপ বাড়ানো হয়েছে৷ করমুক্ত আয়ের সীমার নিচে যারা তাদের রিটার্ন দাখিলে দুই হাজার টাকার কর দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ রূপে অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক। এটি তুলে দেওয়ার দাবি জানাই।

ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, বাজেট ঘটতির অর্থায়ন কোথা থেকে হবে? চলতি অর্থবছরেও ব্যাংক থেকে বিরাট অংকের ঋণ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক নোট ছাপিয়ে ঋণ নেওয়া হয়েছে। সেটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত আছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান।

সারাবাংলা/ইএইচটি/ এনইউ

জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সিপিডি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর