ঢাকা: হিন্দু সুরক্ষা আইন, হিন্দু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শুক্রবার (২ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তি ও এনজিওর পরামর্শে হিন্দু শাস্ত্রীয় পরিপন্থী আইন প্রণয়ন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, ‘আর অল্প কয়েক মাস পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রতিটি নির্বাচনের আগে ও পরে দেশে হিন্দু নির্যাতনের মহোৎসব শুরু হয়। তাই নির্বাচন এলে হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্বিগ্নতার সাথে দিন কাটাতে হয়। তাই এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের কাছে হিন্দু সুরক্ষা আইন, হিন্দু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।’
বক্তরা আরও বলেন, ‘আমাদের এই দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত না করে সরকার কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তি ও এনজিওর পরামর্শে হিন্দু শাস্ত্রীয় পরিপন্থী আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় এই পারিবারিক হিন্দু আইন চায় না। কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তি ও এনজিওর পরামর্শে হিন্দু শাস্ত্রীয় পরিপন্থী আইন প্রণয়ন করার কোনো প্রয়োজন নাই। যারা এই আইন করার জন্য সরকারকে প্ররোচনা করছে তারা নির্বাচনের আগে সরকারের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের দূরত্ব তৈরি করার জন্য নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।’
জোটের নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- জোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে, প্রধান সমন্বয়কারী ড. সোনালী দাস, সহ-সভাপতি প্রভাস চন্দ্র মণ্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রনজিত মৃধা, সুনীল মালাকার, তপন হালদার, সঞ্জয় রায়, জগন্নাথ হালদার, যুগ্ম মহাসচিব সমীর সরকারসহ অনেকে।