‘ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সমস্যা হবে না, মূল্যস্ফীতিও বাড়বে না’
২ জুন ২০২৩ ২১:৫৮
ঢাকা : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার সংকট মোকাবিলায় প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে বিক্রি করেছে। তার মানে ২ লাখ কোটি টাকা বাজেট থেকে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকে গেছে। এই টাকা যদি বাজারে থাকত তাহলে সরকারের এক লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া কোনো বিষয় হতো না। এখন যেহেতু বাজারে তারল্য সংকট রয়েছে, সে জন্য সরকার বন্ডের মাধ্যমে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতিও বাড়বে না।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদেরিএক প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রউফ তালুকদার এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘নতুন টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়লে যে মূল্যস্ফীতি বাড়বে তার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ ২ লাখ কোটি টাকা তুলে এনে ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়লে টাকার সরবরাহ (ক্যাসেল আউট) কম থাকছে।’
পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে টাকার সরবরাহ কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মানি সাপ্লাই যদি দেখেন ওয়ান অব দ্য লোয়েস্ট এই রিজিওনের মধ্যে। জিডিপির মাত্র ৪০ শতাংশ মানি সাপ্লাই। যেটা ইন্ডিয়াতে ডাবল, ৭৬-৭৭ শতাংশ। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াতে প্রায় ১০০ শতাংশ। তাই সরকার ঋণ নিচ্ছে বলে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, এটি ঠিক না। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম, গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অনেকেই বলছেন আমরা লোন নিয়ে চলছি। আইএমএফ থেকে সর্বশেষ যে ঋণ নেওয়া হয়েছে এই অর্থ আমাদের প্রবাসীরা দুই মাসেই দেশে প্রেরণ করে। অর্থাৎ দুই মাসের রেমিট্যান্সের অর্থ আমরা ঋণ নিয়েছি। এটি খুব একটা বেশি ঋণ নয়।’
সারাবাংলা/জিএস/একে