‘সামাজিক সুরক্ষা খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন’
২ জুন ২০২৩ ২২:০৭
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় বিজিএমইএ’র অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আমাদের প্রত্যাশা ছিল। দেশের রফাতানি আয় ও জিডিপিতে যারা সরাসরি অবদান রাখছেন সেই সব শ্রমিক ভাই-বোনদের উন্নত নাগরিক সেবা প্রাপ্তি পক্ষান্তরে শিল্প ও অর্থনীতিকেই লাভবান করবে। তাই সামাজিক সুরক্ষা খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’
এদিকে, প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা খুঁজে পায়নি বিজিএমএই পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আবারও পোশাক খাতে উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য দশমিক ৫০ শতাংশ, নগদ সহায়তার ওপর আরোপকৃত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার, কর্পোরেট কর ১২ শতাংশ ও পোশাকখাতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেকেই বলছেন ২০২৬ সালের পর থেকে প্রণোদনা দেওয়া যাবে না। পোশাকের ক্ষেত্রে এটি এখন থেকেই কমাতে বলছেন তারা। এটি আসলে ভুল হবে। আমেরিকায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রণোদনা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও প্রণোদনা রয়েছে। গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে প্রণোদনা কমিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণরূপে ভুল সিদ্ধান্ত হবে। প্রণোদনা না কমানো হলে, নীতি সহায়তা পাওয়া গেলে, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রণোদনা দেওয়া হলে; আমরা আরও বিনিয়োগ করব বলে কথা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘বাজেটে পোশাক খাতের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু ভেতরে এখনও আমরা সেই আলোকে কিছু পাইনি। এই সেক্টরকে আরও সাহস দিতে হবে যাতে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাজেট পাশ হলে আমরা বলতে পারব— কী পেয়েছি আর কী পাইনি।’
সারাবাংলা/আরএফ/ইএইচটি