রাসিক নির্বাচন: প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা
৩ জুন ২০২৩ ১০:৫০
রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করার পরেই প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। গতকাল শুক্রবার (২ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। পরে জুমার নামাজের সময় অনেক প্রার্থীকে মসজিদে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।
এদিন প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। প্রতীক নিয়ে প্রার্থীর ব্যক্তিগত পছন্দ থাকলে সেই প্রতীক যদি অন্য কোনো প্রার্থী না চান তাহলে তাকে সেই প্রতীক শুরুতেই দিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোনো প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
এরপর প্রতীক বরাদ্দ করা হয় মেয়র প্রার্থীদের। প্রথমে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দলীয় প্রতীক নৌকা বরাদ্দ করা হয়। এরপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমকে হাতপাখা, জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনকে লাঙল প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
প্রতীক পেয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। আমার মনে হয় ভালোই থাকবে। তবে নির্বাচন কেমন হবে এখনো বলতে পারছি না। এখন পর্যন্ত আমার কোনো অভিযোগ নেই। অনেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। আমরা সেটা বলতেও চাই না। আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করব না।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘প্রতীক পেলাম। আচরণবিধি মেনেই আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। আনন্দঘন ও উৎসবমুখ পরিবেশে আমরা নির্বাচন করব। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ তাই কোনো অঘটনও ঘটবে না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা এখন নির্বাচনী বিধি-নিষেধ মেনে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। বেলা দুইটার পর থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিংয়ের শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরীর নির্বাচনী পরিবেশ। পাশাপাশি ছাপাখানাগুলোতে চলছে লিফলেট ও পোস্টার ছাপনোর হিড়িক। ফলে ব্যস্ত সময় পার করা ছাপাখানার কর্মীরা জানিয়েছেন, পোস্টার ও লিফলেট ছাপানো কেন্দ্রীক আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় অনেক প্রার্থী লেমিনেশন করা পোস্টার ছাপাচ্ছেন। যাতে বৃষ্টিতে তাদের পোস্টার নষ্ট না হয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় অনেক প্রার্থীকে মসজিদে লিফলেট বিতরণ করা গেছে। এদিন বিকেলে বেশকিছু কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থকদের নিয়ে শোডাউনও দিতে গেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাও দেখছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ তৈরির পূর্বশর্ত আচরণবিধি প্রতিপালন। সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১২ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
আগামী ২১ জুন রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সব কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএমে।
সারাবাংলা/এনএস