‘সরকারের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে আছে’
৩ জুন ২০২৩ ২০:০৫
ঢাকা: সরকারের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৩ জুন) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সাজা বহাল রাখার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার মাধ্যমে। এভাবেই বিএনপি নেতাদের কারাগারে রেখে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়ে বালি। মানুষ জেগে উঠেছে। নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। সরকারের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সময় শেষ।’
তিনি বলেন, ‘আজ সরকারের অপকর্ম সারাবিশ্ব অবগত। এরা এই জাতিকে বিশ্বের বুকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আমেরিকার ভিসানীতি কেন? কই আর কোনো রাষ্ট্রের জন্য তো এই ভিসানীতি হয়নি। কারণ, এদেশে গণতন্ত্র নেই, বাকস্বাধীনতা নেই।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বাজেটের নামে মশকরা করছে দেশের মানুশের সাথে। এটা গরিব মারার বাজেট।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অনেক অত্যাচার, অবিচার করেছেন। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করেছেন। এবার জনগণকে রেহাই দিন।’
হাইকোর্টও প্রভাব মুক্ত নয় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, পালানোর পথ পাবে না আওয়ামী লীগ।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৪/৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন আমাদের মহাসচিব। সরকারও মরণ কামড় দেবে টিকে থাকতে। আমরাও মরণ কামড় দেব তাদের বিদায় করতে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং জেলে পাঠানো হচ্ছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমান-টুকুর মত একই মামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে দিয়ে খালি মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আনম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম