ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা’র বৈঠক
৪ জুন ২০২৩ ১৪:৫৩
ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রোববার (৪ জুন) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সাক্ষাতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, নির্বাচনি ব্যবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসছেন। উনি আমাদের সঙ্গে কার্টিসি কল (সৌজন্য সাক্ষাৎ) করতে এসেছেন। বাংলাদেশ-জাপানের বন্ধুত্ব, পার্টনারশিপ অনেক পুরনো, বাংলাদেশ-জাপান ওয়ান অব দ্য টপ পার্টনারশিপের মধ্যে তারা সবার উপরে, বাইলেটারেলি জাপানের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবার উপরে।’
‘জাপানের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে, তাদের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে, সরকারের অবকাঠামোর প্রজেক্টগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করছে। সতুরাং জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘ, দেশ হিসেবে জাপান বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব একটি গ্রহণযোগ্য দেশ। সেজন্য বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ’— বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগের কথা তুলে ধরে সাবেক এ বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম প্রচুর বিনিয়োগ জাপান থেকে এসেছে, প্রচুর অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বাংলাদেশে সে সময়ে হয়েছে। আমাদের সময় মুক্তবাজার অর্থনীতি যেটা শুরু করেছিলাম তারপর থেকে জাপানের সঙ্গে সস্পর্ক বেড়ে গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সেজন্য তারা (জাপান) দেখতে চায় সরকার বদল হলেও তা (সম্পর্ক) অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচনি ব্যবস্থা, বর্তমান মানবাধিকার যেগুলো নিয়ে আজকে সবার কনসার্ন, স্বাভাবিকভাবে তাদেরও কনসার্ন থাকার কথা, তারা জানতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে। এটা তারা বোঝার চেষ্টা করছেন। কারণ বেসরকারিখাতে অনেক বড় বিনিয়োগ আছে তাদের, সরকারের অবকাঠামোতে আছে। এগুলো স্বাভাবিকভাবে আমাদের আজকে আলোচনায় এসেছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছে। সুতরাং জাপান তো আলাদা কোনো দেশ না। সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য।’
সারাবাংলা/এজেড/এমও