‘আলোচনা’র আশ্বাসে ফিরে গেলেন আন্দোলনরত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা
৪ জুন ২০২৩ ১৫:৪৮
ঢাকা: সাত দফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ইডেন মহিলা কলেজের গেইট অবরুদ্ধ রেখে পরে আলোচনায় বসার আশ্বাস পেয়ে ফিরে গেছেন তারা।
রোববার (৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকা অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ইডেন মহিলা কলেজের দুটি ফটক অবরুদ্ধ করেন তারা।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করাসহ যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড, তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া, বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেওয়া, সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করা, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দেওয়া, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, সিজিপিএ শর্ত শিথিল করা—সর্বমোট সাত দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী একজন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, ‘সমন্বয়ক এসে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ইডেনের গেট থেকে সরে দাঁড়াব না। সমন্বয়ক সাত কলেজ চালাতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিক।’
পরে বেলা একটার দিকে সাত কলেজের সমন্বয়ক এবং ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত সাতদফা দাবি পর্যালোচনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবি আমার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়কারী কর্মকর্তা উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন বিধায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে পারিনি। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীদের তিনজন প্রতিনিধিসহ একসাথে বসে আলোচনা মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বদ্ধপরিকর।’
সারাবাংলা/আরআইআর/একে