প্লাস্টিক দূষণ: আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবি’র
৪ জুন ২০২৩ ১৮:২২
ঢাকা: বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিনের শপিংব্যাগ নিষিদ্ধ হলেও ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’- এ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও লেমিনেটেড প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ফলে ‘প্লাস্টিক দূষণ’ অব্যাহত রয়েছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
রোববার (৪ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি তাদের উদ্বেগের কথা জানায়। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে অবিলম্বে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার রোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬ (ক) ধারা সংশোধন, দূষণ-কর আরোপ এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের জবাবদিহির লক্ষ্যে পরিবেশ আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন করা হলেও কার্যকর প্রয়োগের অভাবে পরিবেশ দূষণ শুধু অব্যাহতই নয়, বরং উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। প্লাস্টিকসহ ব্যাপকভাবে বর্জ্য ফেলার কারণে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের অন্যতম দূষিত নদীতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণের কারণে আমাদের বাস্তুতন্ত্র ও ভূমির ব্যাপক দূষণ ঘটায় গাছপালা ও অন্যান্য প্রাণীর অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। এছাড়া জৈব রাসায়নিক সারে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকায়, তা কৃষিকাজে ব্যবহারের ফলে স্থায়ীভাবে মাটি দূষিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য প্লাস্টিক দূষণসংক্রান্ত বিধিমালা অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ও সীমিত করাসহ পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক বিকল্প এবং বায়েডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক উৎপাদনে প্রণোদনা ও উৎসাহ প্রদানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সেইসঙ্গে প্লাস্টিকের বেআইনি উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার রোধে দূষণ-কর প্রয়োগসহ আইনের কঠোর প্রয়োগ, প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংস্কার করে শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি ও তার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্লাস্টিক দূষণ রোধে ব্যবহৃত তহবিলসহ সার্বিকভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি সর্বোপরি আইন ভঙ্গকারী এবং প্লাস্টিক দূষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম