Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ ৪ দাবি বিড়ি শ্রমিকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৩ ১৯:২২

ঢাকা: বিড়ির ওপর শুল্ক কমানো, বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।

রোববার (৪ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি জানানো হয়।

সংঠনটির দাবিগুলো হলো, ২০২৩-২৪ অর্থরছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণ, সিগারেট ও বিড়ির অগ্রীম আয়করের বৈষম্য দূর করা ও বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা।

আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মো. হারিক হোসেন। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক মো. শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের অবদান অপরিসীম। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট।

তারা বলেন, বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৭ শতাংশই নিম্নস্তরের। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরামূল্য ৪০ টাকা থেকে মাত্র ৫ টাকা বাড়িয়ে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র পঞ্চাশ পয়সা (১২.৫০ শতাংশ), যা খুবই সামান্য। এই স্তরের সম্পূরক শুল্ক প্রায় অপরিবর্তিত রেখে কেবল মূল্য বাড়ানোর কারণে বর্ধিতমূল্যের প্রায় সব অংশ সিগারেট কোম্পানির পকেটে চলে যাবে। তাই এ বছরের বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক আরো বৃদ্ধি না করা হয় তাহলে বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

বিজ্ঞাপন

বক্তরা আরও বলেন, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি দেশীয় টোব্যাকো কোম্পানীর মার্কেট শোষণ করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ডলারে পরিণত করে বিদেশে পাচার করছে। দেশের ১৬২ জন সংসদ সদস্য বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেন। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা সংসদ সদস্যদের সুপারিশকেও উপেক্ষা করে প্রস্তাবিত বাজেটে এই স্তরের সিগারেটের মূল্য সামান্য পরিমান বৃদ্ধি করেছে।

নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা হলে প্রতি বছর আরও প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতো। যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ঋণ পরিশোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করতো। বিড়ি শিল্পকে রক্ষায় নিম্মস্তরের সিগারেটে শুল্ক আরও বৃদ্ধি করা আশু প্রয়োজন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ

বিড়ি শ্রমিক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর