Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যদি আ.লীগই জনপ্রতিনিধি ঠিক করে তাহলে নির্বাচন কেন?’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ জুন ২০২৩ ২৩:১৫

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় সংসদের আসন ভাগাভাগি ইস্যুতে আলোচনা শুরু করেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, এমপি। তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে কথা আছে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে বিভিন্ন নামে কিছু সিট দিবে। আমাদেরও কিছু সিট দিবে। আমাদের বলা হয়, আপনারা আরও সংগঠিত হন, আপনাদের আরও বেশি সিট দিবে। কে দিবে? আওয়ামী লীগ দিবে? জনগণ ভোট দেবে না? আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীরা যদি সিট দিতে পারে তাহলে নির্বাচনের দরকার কী?

সোমবার (৫ জুন) জাতীয় পার্টি ঢাকা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। সম্মেলনে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে ফের অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি’র নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ঢাকা -০১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সালমা ইসলাম, এমপির নাম ঘোষণা করেন জাপা চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেন, ‘তাহলে ঘোষণা দিয়ে দেন কে কে পাস করেছে। সাংবাদিকরাও প্রশ্ন করছে আওয়ামী লীগ কোন কোন সিট দিবে আপনাদের? নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে, জনগণ ঠিক করবে কে হবেন তাদের প্রতিনিধি। যদি আওয়ামী লীগই জনপ্রতিনিধি ঠিক করে দেন তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজন কেন? আওয়ামী লীগ প্লাস ধংস না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ প্লাস ধংস না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। আইনগতভাবে বাকশাল করা হয়েছিল। এখন আইনগত ভাবে না করলেও বাকশালের আদলে ‘আওয়ামী লীগ প্লাস’ তৈরী করা হয়েছে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। টেন্ডার ছাড়াই কাজ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নামে ঋণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এক হাজার কোটি টাকার স্টিমেটের প্লান্টের জন্য খরচ হয়েছে মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। প্রকল্পে ৭০০-৮০০কোটি টাকা ঋণ করে বাকি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।’

পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নেও দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসলে বাজেটের টাকা দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু শেষ হয়েছে ৩২ হাজার ৬০০ কোটি টাকায়। পদ্মা সেতু আসলে ঋণের টাকায় তৈরি হয়েছে। তিনগুণ বেশি টাকা খরচ হয়েছে পদ্মা সেতুতে। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু? কীসের বাহাদুরী? বিশ্ব ব্যাংকের স্বল্প সুদের ঋণ না নিয়ে হয়তো অনেক বেশি সুদের ঋণের টাকায় পদ্মা সেতু হয়েছে। জনগণের গলায় ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কোনো গর্বের প্রকল্প হতে পারে না।’

জাতীয় পার্টির জেলা সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। সম্মেলনে বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইসরাফিল খান খোকন। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আকতার, আলমগীর সিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহিরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

সম্মেলনে বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইসরাফিল খান খোকন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

আওয়ামী লীগ জাপা জিএম কাদের টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর