গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন শুনানি ১০ জুলাই
৬ জুন ২০২৩ ১৪:৪৪
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে মামলার চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন।
এছাড়াও মামলার অন্য আসামির পক্ষে চার্জশুনানি পেছাতে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জশুনানি করতে বলেন। অন্যথায় চার্জগঠনের বিষয়ে আদেশ দিবেন বলে জানান। পরে আসামি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে চার্জশুনানি শেষ করেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। পরে আদালত আগামী ১০ জুলাই চার্জশুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর মামলায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১৫ জন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
সারাবাংলা/এআই/এমও