Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মন্দের ভালো বাজেট: বারভিডা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৬ জুন ২০২৩ ১৬:২৩

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে মন্দের ভালো বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা)। বাজেটে আরোপিত কার্বন করের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও চেয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে রিকন্ডিশন্ড মোটরযান খাতের প্রস্তাবনা এবং দেশের সার্বিক মোটরযান খাত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে এ মন্তব্য করেন বারভিডা প্রেসিডেন্ট হাবিব উল্লাহ ডন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে একাধিক মোটরগাড়ি থাকলে একের অধিক প্রত্যেকটি গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট হারে পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে হাইব্রিড কার ও জিপ আমদানি শুল্ক এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি ও মাইক্রোবাসের জন্য সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার হয়নি। এসব কারণে গাড়ি ব্যবসায়ীদের এ বছর বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তারপরেও বৈশ্বিক অর্থনীতির চরম অস্থিরতায় বাংলাদেশের এ বাজেটকে মন্দের ভালো।

বারভিডা প্রেসিডেন্ট হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘বাজেটে আমাদের অনেক প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তারপরেও করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির চরম অস্থিরতায় বাংলাদেশের এ বাজেট একটি কর্মমুখর, সচল রাষ্ট্র নির্মাণে সহায়ক হবে। ব্যবসায়ীদের দেশ গঠনে যে দায়বদ্ধতা রয়েছে সেখান থেকে বাজেট ভালো।

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি রাষ্ট্রীয় সংকটে আমরাও কষ্ট করছি, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। বাজেট স্থিতিশীল হয়েছে।’

লিখিত বক্তব্যে হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় আমরা ২০২৩-২০১৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির গাড়ির শুল্ক-কর পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্যে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছিলাম।’

‘হাইব্রিড প্রযুক্তির মোটর গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিসি ভিত্তিক যে শুল্ক-করের হার বিদ্যমান আছে, উৎপাদক এবং ব্যবহারকারী অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিসি স্ল্যাবের সংস্কার এবং পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আমরা বাজেট প্রস্তাবনায় তাই জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করেছিলাম, যাতে এসব গাড়ি আমদানি সহজলভ্য হলে দেশের ভোক্তা শ্রেণী উপকৃত হন এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে হাইব্রিড কার ও জিপ (১৮০১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত) আমদানিতে শুল্ক হ্রাস না করায় আমাদের খাতের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে তা বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্পুরক শুল্ক প্রত্যাহার হয়নি। যেখানে জ্বালানির প্রাপ্যতা এবং দরকারি বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পতার কারণে আমরা যখন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছি তখন দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির আমদানি ও ব্যবহার বৃদ্ধি আমাদেরকে বড় রকমের রিলিফ দিতে পারে। আমরা তাই বৈদ্যুতিক গাড়ির বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছিলাম। সেটাও হয়নি।’

ডন বলেন, ‘আমরা ১০ হতে ১৫ আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসের উপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম এনবিআরকে। কিন্তু এই বহুমুখী অর্থকরী গাড়ির বিচরণ ক্ষেত্রের দিকে নজর দেয়নি।’

বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় কোনো করদাতার নামে একাধিক মোটরগাড়ি থাকলে একের অধিক প্রত্যেকটি গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট হারে পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন। আমরা বারভিডা মূলত জাপান থেকে গাড়ি আমদানি করে থাকি, যা সর্বাধিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং পরিবেশ বান্ধব। এসব গাড়ি থেকে যেহেতু কোনো কার্বন থেকে যেসব মানসম্পন্ন গাড়ি আমদানি নিঃসরনের সুযোগ নেই, তাই এসব গাড়ির ব্যবহারকারীদের পরিবেশ সারচার্জ প্রদানের বিষয়টি মোটেই যৌক্তিক নয়। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা এবং পরিষ্কার ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।’

এ সময় রারভিডা সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আসলাম সেরনিয়াবাত, ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ

বারবিডা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর