Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করের ব্যবধান ১০% করার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ জুন ২০২৩ ১৭:১৪

ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই)। এছাড়াও বাজেট বন্ড থেকে সুদের আয়ের ওপর কর অব্যাহতি ও লভ্যাংশ আয়ের ওপর আরোপিত উৎসে কর প্রত্যাহারসহ ৬টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ‘বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে’ ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু এসব দাবি জানান। এ সময় স্বতন্ত্র পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রুবাবা দৌলা, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিএসই’র সিএফও ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাত্তিক আহমেদ শাহ, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সামিউল হক এবং আসাদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসইর অন্য প্রস্তাবগুলোর হলো— পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই কোম্পানিগুলোর কর ব্যবধান ১০ শতাংশ করা এবং ব্রোকার হাউজের লেনদেনের ওপর উৎসে কর কমানো।

ডিএসই’র চেয়া রম্যান অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘বর্তমানে করপোরেট বন্ডের বাজারের আকার খুবই ছোট। যা পুঁজিবাজারের পাশাপাশি অর্থ বাজারেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। একটি কার্যকরী বন্ড বাজার অর্থনীতিকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারে। সব ধরনের বন্ডের সুদ অব্যাহতির আওতায় আনা হলে একটি শক্তিশালী বন্ড বাজার সৃষ্টিতে উৎসাহিত করবে।’

তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলো কর-পরবর্তী মুনাফা থেকে লভ্যাংশ দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, লভ্যাংশের ওপর কর এক ধরনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের কর আরোপ। লভ্যাংশের ওপর উৎস কর চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচিত হলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।’

ডিএসই‘র চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হারের পার্থক্য ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। তাহলে কর সুবিধা নেওয়ার জন্য অধিক সংখ্যক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে। যা পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করবে।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘ডিএসইর ট্রেকহোল্ডারদের (ব্রোকারেজ হাউজের মালিক) প্রধান আয় (টার্ন-ওভার) হচ্ছে কমিশন। যদি বেশি হারে কর নেওয়া হয়, তবে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির পক্ষে টিকে থাকা এবং পুঁজিবাজারে অবদান রাখা কঠিন হবে। ডিএসইর এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হারের পার্থক্য ন্যূনতম ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। বর্তমানে ডিএসইর তালিকাভুক্ত এসএমই কোম্পানিগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কর প্রদান করতে হয়, যা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং এসএমই কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহ হারাচ্ছে। ফলে এসব কোম্পানির কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর আদায় সম্ভব হচ্ছে না। যদি এই জাতীয় কোম্পানিগুলোকে হ্রাসকৃত হারে কর ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হয়, কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য উৎসাহিত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সরকারের কর আদায় বৃদ্ধি পাবে।’

অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘বর্তমানে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। আমাদের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করবে বলে আশা করি।’

সারাবাংলা/জিএস/এনএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

নড়াইলে মাশরাফিসহ ৯০ জনের নামে মামলা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৪০

সরকারের প্রথম একনেক ১৮ সেপ্টেম্বর
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৩

সম্পর্কিত খবর