Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জাতিসংঘ প্রতিনিধির সামনে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৬ জুন ২০২৩ ২২:২৪

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হো‌সেন আমু বলেছেন, বিগত সময় যেমন জাতিসংঘ তারানকো সাহেবকে পাঠিয়েছিলেন। আমাদের দুই দলকে নিয়ে বসে একসঙ্গে মিটিং করেছেন। আজও প্রয়োজনে এই ধরনের জোরাজুরি না করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই- অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়। এটা আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে। অন্য কোনো পথে নয়।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। বগল বাজাবার কোনো সুযোগ নেই। বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের বিভিন্ন রকম ফন্দি-ফিকির গত দিনেও আপনারা করেছেন, আজও করছেন।’

তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল বিগত দিনে যেমনভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে আগামীতেও সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাকেও অব্যাহত রাখবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটিকে অব্যাহত রাখবে।’

আমু বলেন, ‘সুতরাং আজকে কথা বেশি বাড়াবার সুযোগ নেই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এই সংবিধানকে সামনে রেখে যেকোনো সমাধান করতে আমরা প্রস্তুত। আপনারা এগিয়ে আসুন। আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে, এই গণতন্ত্রকে ঠিকিয়ে রাখার স্বার্থে আপনাদের সঙ্গে বসতে রাজি আছি। আলোচনার দ্বার খোলা। শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন, যেকোনোভাবে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রস্তুত। পথ অবরুদ্ধ করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে সফল হবেন না।’

বিগত সময়েও বিএনপির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আমু। দলটির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ২০১৩ সালে প্রথম যখন জিকির তুললেন নির্বাচনের ব্যাপারে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জনাব তারানকো সাহেবকে পাঠানো হলো। তিনি এলেন, আলাদা আলাদা বৈঠক করলেন। বিএনপির সঙ্গে, আমাদের সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে দুই দলকে নিয়ে যৌথ মিটিং করলে প্রমাণিত হলো তাদের কথা কতটা অযৌক্তিক। আমরা কতটা যৌক্তিক ছিলাম।’

সমাবেশে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (একাংশ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম এবং সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

১৪ দল আমু টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর