Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘২ হাজার টাকা আয়কর দেওয়া যৌক্তিক’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জুন ২০২৩ ১৯:৩৬

ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: নূন্যতম ২ হাজার টাকা আয়কর দেওয়া যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দেশের ৬ কোটি লোক স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। আমরা ৬ কোটি লোক যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারি তাহলে দুই হাজার টাকা নূন্যতম আয়কর দিকে পারব না- এটা আমাদের সঙ্গে যায় না।’

বুধবার (৭ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (আরএপিআইড) চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২ হাজার টাকা কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করায় অনেকে সমালোচনা করছেন। ৬ কোটি লোক স্মার্টফোন ব্যবহার করলে নূন্যতম ২ হাজার টাকা আয়কর দেওয়া যৌক্তিক। তবে এটার একটা বিপরীতমুখী দিক রয়েছে। সেটা হলো বাজেটে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করমুক্ত আয়কর সীমা হলে নূন্যতম ২ হাজার টাকা কিভাবে নেবে। তবে নূত্যতম কর ২ হাজার টাকা নিলে কোনো অসুবিধা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্স জিডিপি‘র রেশিও এই অঞ্চলের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। এটা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনে ট্যাক্সশুমারি হওয়া উচিত। আমাদের ৩ কোটি ট্যাক্স সক্ষম লোকের মধ্যে মাত্র ২৭ লাখ লোক আয়কর দেন। তাহলে কি আমাদের কর দেওয়ার সক্ষম লোক নাই। অবশ্যাই রয়েছে। এদের খুঁজে বের করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে কর আহরণের পরিমাণ গত অর্থবছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গত অর্থবছরের ঘাটতির সঙ্গে বিবেচনা করলে এটি ৩০ শতাংশ হবে। ফলে আমাদের কর বাড়াতে হবে। তবে এই কর কিভাবে বাড়ানো হবে, কোথায় থেকে আসবে প্রস্তাবিত বাজেটে তার কোনো রূপরেখা নেই। আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন দেখছি। তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আরও বেশি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে আয় বাড়াতে হবে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং আইন হচ্ছে, কিন্তু কি আইন হচ্ছে- আমরা জানি না। আমরা কিন্তু একটা স্টেকহোল্ডার। আইনটা কি হচ্ছে জানি না। স্টেকহোল্ডার হিসাবে আমাদের জানা উচিত ছিল। জানলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’

তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাকের কোটা সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের পোশাকখাতের রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে। এমন বলা হলেও বাস্তবে তার উল্টোটা হয়েছে। আমাদের রফতানি প্রায় ৫২/৫৩ বিলিয়ন ডলার। এতো খারাপ অবস্থার মধ্যেই আমাদের গ্রোথ হচ্ছে। এই গ্রোথটা ধরে রাখতে হবে। এই গ্রোথ ধরে রাখতে আমাদের এখন কটন ব্যাজ থেকে সিনথেটিক ব্যাচে যেত হবে। আমাদের গ্যাসের ওপর ভিত্তি করে অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এখন আমাদের মাটির নিচে যে কয়লা আছে সেটা তুলে আনতে হবে। এটা তুলে শিল্পখাতে কাজে লাগাতে হবে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলোকে সামনে রেখেই আসন্ন বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। করোনার সময়ের সংকট কাটিয়ে ওঠার পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করে। এরকম সংকট আগে কখনো দেখি নাই। করোনার সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তবে যুদ্ধ শুরুর পরে সংকট আরও বেড়েছে। সমস্যার মধ্যেই বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। সামনে আবার তাদের নির্বাচন। সংকট থাকলেও অনেক পজিটিভ গ্রোথ রয়েছে। রফতানিতে বহুমাত্রিকতা আনা উচিত ছিল, যা আমরা করতে পারিনি।’

সারাবাংলা/জিএস/এনএস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর