Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিসিদের অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে বাধা নেই: হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ জুন ২০২৩ ১২:৫৯

ঢাকা: অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১ এবং অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা ২০১২ এর ধারা-৯, ১৩ এবং ১৪ বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। ফলে অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। জেলা প্রশাসকদের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

এই রায়ের ফলে অর্পিত সম্পত্তির তদারকি ও লিজ দেওয়ার ক্ষমতা জেলা প্রশাসকদের হাতেই রইলো এবং এ সংক্রান্ত মামলা কেবলমাত্র অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালেই দায়ের করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এই রায়ের মাধ্যমে সঙ্গে বর্তমানে দেশের অন্য আদালতে চলমান অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত মামলাগুলো অচল হয়ে গেল বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত কতিপয় সম্পত্তি বাংলাদেশি মূল মালিক বা তাহার বাংলাদেশি উত্তরাধিকারী বা এদের বাংলাদেশি স্বার্থাধিকারীর নিকট প্রত্যর্পণ সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন- ২০০১’ এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা ২০১২’ সংসদে পাস হয়।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরকার অর্পিত সম্পত্তি আইন করলেও তা স্থগিত করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার। পরে আবার ক্ষমতায় ফিরে ২০১২ সালে তা পুনর্বহাল করে বর্তমান সরকার। ২০১২ সালে অর্পিত সম্পত্তি আইন কার্যকর হয়।

বিজ্ঞাপন

সরকারের এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল ভূমির প্রকৃত মালিকদের ভূমি ফেরত দেওয়া। কিন্তু এর আগেই অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে আদালতে লাখ লাখ মামলা দায়ের হয়।

২০১২ সালে চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তি অর্পিত সম্পত্তি আইনের গেজেট হওয়ার আগেই তাদের অর্পিত সম্পত্তি বিচারাধীন ছিল দাবি করে এই আইনের ধারা-৯, ১৩ ও ১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খুলনার শ্যামল কুমার সিংহ এবং চট্টগ্রামের মো. মশিউর রহমান ২০১২ সালে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করেন।

তবে এ রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি।

এরপর অর্পিত সম্পত্তির আইনের ধারা-৯, ১৩ এবং ১৪ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত আজ অর্পিত সম্পত্তির আইনের ধারা-৯, ১৩ এবং ১৪ বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়ে রায় দেন।

এর ফলে অর্পিত সম্পত্তির আইনের ধারা-৯, ১৩ এবং ১৪ বহাল থাকলো। তবে রিটকারীদের আইনজীবীরা বলছেন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় যারা এদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যায়, তাদের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে সেসব সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে নামকরণ করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসক হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর