Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রায় না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না জামায়াত দোষী: আইনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ জুন ২০২৩ ১৫:৪৫

ঢাকা : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারব না জামায়াতে ইসলামী দোষী। বিচারের প্রক্রিয়াটা শুরু হবে এবং বিচারের প্রক্রিয়াটি কী হবে সেটি আমি আজকেই বলতে পারব না।

রোববার ( ১১ জুন ) ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন। এ সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। এলআরএফ‘র সভাপতি আশুতোষ সরকার সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারোয়ার হোসেন ভূঞা সভাটি পরিচালনা করেন।

বিজ্ঞাপন

একদিকে জামায়াতে ইসলামীকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য আইন করা হচ্ছে অন্যদিকে তাদেরকে ১০ বছর পর সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে- এই দুইটি পরস্পর সাংঘর্ষিক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলব, এটিকে আমি সাংঘর্ষিক মনে করি না। তার কারণ হচ্ছে বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাবাস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারব না জামায়াত দোষী।’

তিনি বলেন, ‘বিচারের প্রক্রিয়াটা শুরু হবে এবং বিচারের প্রক্রিয়াটি কি হবে সেটি আমি আজকেই বলতে পারব না। বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে, এই কারণে এতদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যে বিচার করে এসেছি। সেখান থেকে যেসব তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে, সেখান দেখা গেছে, জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধী একটি দল হিসেবে বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত রয়েছে। কিন্তু বিচার করার পরেই এটিকে বলা যাবে, তারা দোষী, কি দোষী না। সে জন্য আমি মনে করি না, তাদেরকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া সাংঘর্ষিক।’

বিজ্ঞাপন

জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে বিচার করার জন্য যে আইন সংশোধন করার কথা আমি ইতিপূর্বে বলেছি, সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। এই আইনটি সংশোধনের জন্য কিছুদিনের মধ্যে কেবিনেটে যাবে। আপনারা হয়ত জানেন সভা-সমাবেশ করার অনুমতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। ওনারা কি বিবেচনায় দিয়েছেন এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞাসা করলে ভালো হয়।’

আমেরিকার ভিসানীতির কারণে ‘অপমানিত’ হয়েছেন উল্লেখ করে এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমার সঙ্গে যখন আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের দেখা হয়েছে, আমি তাকে পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, এই নীতি ঘোষণার কারণে আমরা কিন্তু অপমানিত হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে আমেরিকা সরকারের একটা নীতি। এটি যদি তারা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করেন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যদি এটি কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের এ ব্যাপারে আপত্তি আছে। সেই সঙ্গে ভিসানীতিতে আমাদের বিচার বিভাগকে কেন টেনে আনা হলো, সেটিও স্পষ্ট করার জন্য বলেছি।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

আইনমন্ত্রী জামায়াতে ইসলামী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর