খিলগাঁও থেকে ২ তরুণীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার

ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পৃথক দুই জায়গা থেকে দুই তরুণীসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- আয়শা সিদ্দিকা কথা (২৩), লিমা আক্তার (২১) ও তারিকুল ইসলাম (২৭)।

রোববার (১১ জুন) বিকেলে ওই দুই তরুণীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। এছাড়া পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারিকুলের মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা জানান, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে লিমা নামে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই তরুণী এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চার/পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশে আসেন। থাকতেন খিলগাঁও নন্দীপাড়ায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এই কারণে তার পরিবার গত ২৭ মে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে দুই দিন ভর্তি থাকার পর কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণী।

ওসি আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় নন্দীপাড়া এলাকায় খুব অসুস্থ অনুভব করলে পথচারীরা তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান তিনি। তার বাবার নাম নুর ইসলাম। লিমা মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বনশ্রীর ৭/এ নম্বর রোডের এইচ ব্লকের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তারিকুল ইসলামের (২৭) মৃতদেহ।

খিলগাও থানার ওসি মনির হোসেন মোল্লা জানান, খবর পেয়ে দুপুরে ওই বাসার দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তরিকুলের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার বাবার নাম আহসান উল্লাহ। পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, তিনি কয়েক বছর আগে এমবিএ শেষ করে চাকরি খুঁজছিলেন। এছাড়া নানান কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এই সব কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে তারিকুলের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে, খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভিন জানান, রোববার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও পূর্ব গোড়ান ৯ নম্বর রোডের একটি টিনশেড বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আয়শার লাশ।

এসআই জানান, আয়শার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায়। স্বামী গাড়িচালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে গোড়ানের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। স্বামীর দাবি, প্রতিবেশি ভাড়াটিয়া ফরহাদের কাছে এক হাজার টাকা পাবেন। সেই টাকার জন্য দুপুরে প্রতিবেশির সঙ্গে ঝগড়া হয় আয়শার। আর এই ঝগড়ার জেরে স্বামীর সঙ্গেও ঝগড়া হয় তার। এর পর রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন আয়শা। খবর পেয়ে ওই বাসার দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম

খিলগাঁও