ব্যাংক কোম্পানি বিল-২০২৩ সংসদে উত্থাপনের সুপারিশ
১২ জুন ২০২৩ ২১:১৯
ঢাকা: ব্যাংক কোম্পানি সংশোধিত বিল সংসদে উত্থাপনের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
সোমবার (১২ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একাদশ বৈঠক এ সুপারিশ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি। কমিটির সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মো. আব্দুস শহীদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং কাজী নাবিল আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।
এদিন ১০ম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয় এবং ওই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ সংশোধনীসহ সংসদে উত্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় সংসদে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো ‘আয়কর বিল, ২০২৩’ পরীক্ষাসহ আয়কর বিলের দফা ২(৮৭), ২৬৪(৩)(২২) এবং ষষ্ঠ তফসিলের প্রস্তাবিত ২৭ নম্বর দফা আলোচনা করা হয়। পরে বিলটি সংশোধিত আকারে গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সিএজি কার্যালয় ও বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিচালক বা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনিয়মে আর্থিক ক্ষতিপূরণে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক- এ ধরনের বিধান রেখে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২৩ বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি একক পরিবারের সদস্যের বাইরে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বোচ্চ দু’টি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক থাকতে পারবে। তবে কোনো ব্যাংকের পর্ষদে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পক্ষে একজনের অধিক ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত হতে পারবে না।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের শেয়ারের মালিক হলে তার প্রতিনিধি হিসেবে অন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিদ্যমান আইনে কোনো ব্যাংক পরিচালক একই সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকতে পারবেন না।
সংসদে উপস্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত করা ও চূড়ান্ত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দু’টি পৃথক কমিটি গঠন করবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সময়ে সময়ে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে। তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আপিল করতে পারবে এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এছাড়া, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞাসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম