গত ৫ বছরের মধ্যে শিশু মৃত্যুহার সর্বোচ্চ
১৩ জুন ২০২৩ ১৪:৩৫
ঢাকা: দেশে গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ২০২২ সালে। এসময়ে প্রতিহাজারে ১ থেকে ৪ বছর বয়সের শিশু মৃত্যু হার এক দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহারও বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (চলতি দায়িত্ব) মহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র বসু।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে প্রতিহাজার জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর বিপরীতে ৩১ জন শিশু মারা গেছে। এর আগের তিন বছরে মারা গিয়েছিল ২৮ জন শিশু। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৯ জন।
প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর বিপরীতে বেশি মারা গেছে পুরুষ শিশু। ২০২২ সালে প্রতি হাজারে ৩৩ জন পুরুষ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ২৯ জন নারী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। ২০২২ সালে শহরে যেখানে প্রতি হাজারে ২৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, সেখানে গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জন শিশুর। তবে কমেছে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। ২০২২ সালে জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর বিপরীতে প্রতি লাখে ১৫৬ জন মায়ের মৃত্যু হয়ছে। যা ২০২১ সালে ছিল ১৬৮ জন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রকল্পের মধ্যে অর্থের অপচয় হয় বলে আমার ধারণা। ওখানে ভাল মানের গাড়ি পাওয়া যায়, ভাল মানের ভবনে অফিস করা যায়। যে কারণে কর্মকর্তারা সেখানে যেতে বেশি আগ্রহী হয়। এসভিআরএস কার্যক্রম সরকারের রাজস্ব বাজেটের অধীনে নিয়ে আসা উচিত। আমরা অর্থনৈতিক সংকটে নেই। সংকটে থাকলে তো কর্মচারীদের বেতন দিতে পারতাম না। বর্তমানে কিছু সমস্যা চলছে সেটা দ্রুতই সমাধান হবে।’
প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘শিশু মৃত্যু হার বৃদ্ধি পাওয়া কাম্য নয়। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যে কারণে আরও সঠিকভাবে তথ্য উঠে আসছে। তাই অতীতের হারের চেয়ে বেশি আসতে পারে। তবে যাই হোক না কেন শিশুর মৃত্যুও হার বৃদ্ধি কাম্য নয়। কারণ আমরা এ হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে।’
সারাবাংলা/জেজে/এনএস